রোহিঙ্গারা স্বদেশে ফেরত না যাওয়া পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার জন্য নোয়াখালীর ভাসানচরে সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে পুনর্বাসন কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার বিকালে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লেদা রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ এবং চিকিৎসা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, মানবিক কারণে সরকার রোহিঙ্গাদের এ দেশে আশ্রয় দিয়েছে। যতদিন পর্যন্ত তারা স্বদেশে ফেরত না যায় ততদিন পর্যন্ত তাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে অস্থায়ীভাবে পুনর্বাসন করে আশ্রয় দেয়া হবে। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মানবিক নেত্রী হিসেবে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কক্সবাজারের ১২টি অস্থায়ী ক্যাম্পে সোলার লাইট সংযুক্ত করে রোহিঙ্গা পল্লীগুলোকেও আলোকিত করা হবে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন ও রাশিয়া দ্বিচারী ভূমিকায় রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী কাদের বলেন, একদিকে ত্রাণ আর অন্যদিকে মিয়ানমারের পক্ষ নেয়া দ্বিচারিতারই লক্ষণ। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ভারত যেভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন ও রাশিয়াকে সেইরূপ ভূমিকা পালনের আহবান জানাই।
সোমবার বাংলাদেশে সফরে আসা মিয়ানমারে ইউনিয়ন মন্ত্রী ( কেবিনেট মিনিষ্টার ) এর সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক ফলাফল আসতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “ মিয়ানমারের মন্ত্রী ২ দিনের মধ্যে সাড়া দিবেন। মিয়ানমারের নাগরিকদের সম্মানের সাথে স্বীকৃতি দিয়ে সেদেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আশা করি কূটনৈতিক তৎপরতা এবং আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা সংকটের অবসান হবে। ”
টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রীয় নেতা মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।