হাথুরুসিংহে পদত্যাগ করায় বাংলাদেশ দলের হেড কোচের পদ এখন শূন্য। নতুন কোচ নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিসিবি। পছন্দের তালিকায় থাকা তিন কোচের সঙ্গে সামনাসামনি আলোচনা করতে ডাকাও হয়েছে। তাদের একজন রিচার্ড পাইবাস। বিসিবির সঙ্গে সাক্ষাত করতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন ৫৩ বছর বয়সী সাউথ আফ্রিকান কোচ।
বুধবার সকাল ১১টায় বিসিবি কার্যালয়ে আলোচনায় বসবেন পাইবাস। বিসিবি পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানালেন, সুবিধামতো সময়ে আসবেন তালিকায় থাকা বাকি কোচরাও। বাকিরা কারা, তাদের নাম অবশ্য গোপনই রাখলেন তিনি।
বিসিবি কার্যালয়ে পাইবাস প্রসঙ্গে জালাল ইউনুস জানালেন, ‘হেড কোচের জন্য খোঁজাখুঁজি শুরু করেছি। আমাদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় যারা আছে, তারা এসে সাক্ষাতকার দেবে। প্রথম আসছে পাইবাস। তার সঙ্গে আলোচনা হবে। তালিকায় আরও দুই-একজন আছে। তাদের সুবিধামতো সময়ে সাক্ষাতকার দিয়ে যাবে। তারা কোথাও না কোথাও চাকরি করছে।’
বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এগিয়ে নেয়ার চ্যালেঞ্জ নেবে, আবার দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে সম্মত হবে এমন কাউকেই চাইছে বাসিবি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোচ নিয়োগের আশা করা হলেও অবশ্য জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে বাংলাদেশ কোচ পাবেই- এমন নিশ্চয়তা দিচ্ছেন না জালাল ইউনুস।
‘হাই-প্রোফাইল কোচ পাওয়া খুব কঠিন। আমরা এমন কোচ চাচ্ছি, যিনি বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার চ্যালেঞ্জ নেবে। পাইবাস পাকিস্তান, সাউথ আফ্রিকায় কাজ করেছে। এখনই কোচ হতে যাচ্ছে ব্যাপারটা তেমন নয়। টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন আছে, কতটুকু সময় দেবে, স্থায়ীভাবে থাকতে পারবে কিনা; অনেক ব্যাপার আছে হেড কোচ হওয়ার জন্য। সবকিছু মিললেই কেবল সম্ভব।’
সেসব দিক ভাবলে অবশ্য পাইবাসই এগিয়ে থাকছেন। তিনি বর্তমানে কোন দলের সঙ্গে কাজ করছেন না। আগে বাংলাদেশেও কাজ করে গেছেন। ২০১২ সালে স্টুয়ার্ট ল’র স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। বিসিবির সঙ্গে তিক্ততায় দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে যেতে পারেননি সেসময়। অনুশীলনে খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার না দেয়ার অভিযোগও তুলেছিলেন পাইবাস। বিসিবির কাছে যে ধরনের সহায়তা আশা করেছিল, সেসময় মেলেনি সেগুলোও। পরে সাড়ে চার মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ-অধ্যায় শেষ হয়ে যায় তার।
সেই অধ্যায় পেছনে ফেলে পাইবাস আবারও বাংলাদেশের হেড কোচ হতে চাইলে তাকে সাদরে গ্রহণ করা উচিত বলেই মনে করছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ইশতিয়াক আহমেদ। চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপে জানালেন, ‘পাইবাস অবশ্যই উঁচুমানের কোচ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল তার সময়ে সাফল্য দেখেছে। পাকিস্তানে কাজ করেছে, বাংলাদেশেও কিছুদিন ছিল। নিঃসন্দেহে অভিজ্ঞ ও যোগ্য একজন কোচ। তাকে পেলে আমার মনে হয় উপকৃতই হবো। পাইবাসের চেয়ে ভাল বিকল্প বর্তমানে অ্যাভেইলেবলও নেই। বনিবনা হলে চুক্তিটা বিশ্বকাপ পর্যন্তই হওয়া উচিত।’