শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছিলেন দিঘী। কাজী হায়াতের কাবুলীওয়ালা চলচ্চিত্রে অভিনয় তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এনে দেয়। এরপর চাচ্চু, দাদীমা, এক টাকার বউ চলচ্চিত্রগুলো তাকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছে দেয়। সেই ছোট্ট দিঘী এখন অনেক পরিণত। নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে ‘ক্যামব্যাক’ করতে চলেছেন, এমনটা শোনা যায় প্রায়শই!
অপেক্ষায় আছেন ভালো চরিত্র, পরিচালক ও গল্পের। দিঘীর বাবা সুব্রত বড়ুয়াও চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় করছেন। তিনিও চাইছেন দিঘী নায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ুক। কারণ, দিঘীর মা দোয়েলও চলচ্চিত্রে অভিনয় করতেন। তিনি অসুস্থ নিয়ে ২০১১ সালে মারা যান।
দিঘীর বাবা সুব্রত চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, দিঘীকে চলচ্চিত্রে আনার জন্য প্রায়ই প্রস্তাব আসছে। কিন্তু টাইমিং হয় না। বেশিরভাগই পুরাতন পরিচালকরা তাকে আবার চলচ্চিত্রে নিতে চাচ্ছেন। কিন্তু সে (দিঘী) পুরাতন পরিচালকদের ছবি করতে আগ্রহী না। বর্তমানে দিঘী উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষে পড়ছে। দ্বিতীয় বর্ষে না যাওয়া পর্যন্ত তার চলচ্চিত্রে আসা হবে না। লেখাপড়ার চাপ থাকছে।
সুব্রত বলেন, চলচ্চিত্রে আমি নিয়মিত কাজ করছি। পুরাতন অনেক পরিচালককে শুটিং সেটে বসে স্ক্রিপ্ট লিখতে দেখি। এতে করে কখনোই ভালো কাজ বের হয় না। একজন শিল্পী যদি আগে থেকে তার চরিত্র নিয়ে স্টাডি না করেন তাহলে কীভাবে ভালো কাজ স্ক্রিনে দিবে? তাছাড়া পুরাতন যেসব পরিচালক ছবির জন্য আষছেন তাদের বেশিরভাগ গল্পের ধরনই ২০ বছর আগের ছবির মতো। যেগুলো এখন আর চলবে না। সেজন্য দিঘীকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
এরইমধ্যে একাধিক ছবিতে অভিনয়ের কথা মোটামুটি পাকাপোক্ত হয়েছে বলেও জানান সুব্রত। এরমধ্যে দিঘীকে ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন গেল বছরে সরকারি অনুদান পাওয়া নির্মাতা হৃদি হক। চূড়ান্ত কথা না হলেও এরকম আরো কয়েকটি প্রজেক্ট-এর কথা জানালেন দিঘীর বাবা।
দিঘী অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে চাচ্চু আমার চাচ্চু, দাদীমা, বাবা আমার বাবা, রিক্সাওয়ালার ছেলে, দ্য স্পিড, অবুঝ শিশু। অল্প কয়েক বছরে শিশুশিল্পী হিসেবে দিঘী তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।