চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সুশান্তের মৃত্যুতে বাঙালি নারীদের জড়ানোটা রুচিহীন: বাবুল সুপ্রিয়

সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনার সাথে রিয়া চক্রবর্তীর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার ট্রলিং চলছে। শুধু তাই নয়, সব বাঙালি মেয়েই ‘বিশ্বাসঘাতক’ ও ‘বিপদজনক’, এমন মন্তব্যও করা হচ্ছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিষয়টি নিয়ে নিন্দা জানিয়ে বিজেপি সাংসদ, গায়ক ও অভিনেতা বাবুল সুপ্রিয় কথা বলেছেন এক সাক্ষাৎকারে।

আপনার অনেক রাজনৈতিক সহকর্মীই সুশান্তের ঘটনায় তাদের বক্তব্য জানিয়েছেন। এই ঘটনা নিয়ে আপনি জেনেছেন কীভাবে?
অন্যদের মতোই মিডিয়া থেকে জেনেছি। তার মৃত্যু সবাইকে চমকে দিয়েছে। ছোট শহর থেকে আসা হাসিখুশি মানুষ ছিলেন তিনি। বলিউডে যায়গা করে নিয়েছিলেন। তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম না। কিন্তু আমি মনে করি তার আত্মহত্যা করার পেছনে কোনো যুক্তি ছিল না। তার কাছের বন্ধুরা কেন তার মানসিক অবস্থা জানলো না? স্বজনপোষণ নিয়ে বিতর্ক করার যুক্তি আছে কিন্তু এটা এই ঘটনার মোড় অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে। অনেক প্রশ্নের কোনো উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। সিবিআই তদন্তভার নেয়ায় আমি খুশি।

এই ঘটনায় বাঙালি নারীদের সম্পর্কে কটু কথা ছড়ানো হচ্ছে, লোভী এবং সুযোগ সন্ধানী বলা হচ্ছে। এই বিষয়ে আপনার মতামত কী?
খুবই দুর্ভাগ্যজনক এবং রুচিহীনতা! এই মানুষগুলো মানসিকভাবে অসুস্থ। এই ঘটনার সাথে বাঙালি নারীদের জড়ানো হচ্ছে কেন? সম্পর্কটা কী? কেন এই ধারণা থেকে বের হতে পারছে না মানুষ? মনোযোগটা রাখা উচিত সুশান্তের মৃত্যুর সাথে জড়িত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডগুলোর দিকে। সুপার ট্যালেন্টেড আলিয়া ভাটকে ট্রল করা হলো মহেশ ভাট ও মুকেশ ভাটের অপ্রয়োজনীয় মন্তব্যের কারণে। মহেশ ভাটের কোনো প্রয়োজনই ছিল না পারভিন ববির সঙ্গে সুশান্তের তুলনা করার। তারা যদি সব জানতেনই তাহলে সাহায্য করলেন না কেন সুশান্তকে? সুশান্ত যদি বলিউডের কারও সন্তান হতো তাহলে কি সাহায্য করতেন? এখান থেকেই স্বজনপোষণের বিতর্ক তৈরি হয়।

বিতর্ক জরুরী, তবে এক্ষেত্রে আসল ঘটনা থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিচ্ছে। বলিউডে স্বজনপোষণ আছে অন্যান্য কর্পোরেট দুনিয়ার মতোই। কিন্তু মেধাবীরা তার যায়গা করে নেবেই শাহরুখ খান, অক্ষয় কুমার, রণবীর সিং এর মতো, অথবা আলিয়া ভাট ও কারিনা কাপুরের মতো। বলিউড মেধার পেছনে বিনিয়োগ করে। তারকাদের সন্তানরা সহজেই সিনেমায় যায়গা পেয়ে যায় এটা সত্যি, কিন্তু শুধু মাত্র মেধা থাকলেই টিকে থাকতে পারে।

প্রযোজক এবং অভিনেতাদের বয়কট করার কথা বলা হচ্ছে। তাদের অনেকেই আপনার সহকর্মী। এই ব্যাপারে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
বয়কট হ্যাশট্যাগে আমি বিশ্বাসী নই। প্রমাণিত হওয়ার আগে সবাই নির্দোষ। সিবিআই তদন্ত করছে এখন, তাই এটা স্বজনপোষণ, মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা নাকি অন্য কিছু তা দেখার জন্য অপেক্ষা করা উচিত।

-টাইমস অব ইন্ডিয়া