তিন ফরম্যাটেই অভিষেক হয়েছে তার। তবে সুযোগটা নিয়মিত মেলে না। মুশফিকুর রহিম চোটে পড়লেই কেবল একাদশে জায়গা মেলে। নুরুল হাসান সোহানের অবশ্য সেটি নিয়ে খুব একটা আক্ষেপ নেই। স্কোয়াডে থেকে শিখতে পারাকেই বড় করে দেখছেন এই তরুণ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
সোহান বাংলাদেশের হয়ে ৯টি টি-টুয়েন্টি, দুটি ওয়ানডে আর একটি মাত্র টেস্ট খেলেছেন। সম্ভাবনাময় এক ক্যারিয়ারের শুরুতে আরো কিছু ম্যাচ খেলতে না পারার বিষয়টি হয়তো ভাবায় তাকে, তবে অস্থির করে দেয় না।
‘আসলে জাতীয় দলের সঙ্গে থাকলে সবসময় অনেক কিছু শিখতে থাকি। ড্রেসিংরুম থেকে বলেন বা টিম ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে, কিংবা অনুশীলন থেকে। প্রতিটা ক্ষেত্রেই আমার যে ঘাটতিগুলো রয়েছে, এগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য অনেক কিছু শেখার আছে।’
যেকোনো সময় সুযোগ আসতে পারে- সেটির জন্যও নিজেকে প্রস্তুত রাখতে চেষ্টার কমতি নেই সোহানের। অস্ট্রেলিয়া ও সাউথ আফ্রিকা সিরিজের আগে তাই কন্ডিশনিং ক্যাম্পে বেশ পরিশ্রমী ও মনোযোগী ছাত্র তিনি।
‘আরও দুই-তিন সপ্তাহ আমরা ফিটনেস ক্যাম্প করার সময় পাব। চেষ্টা থাকবে সবাই যাতে রিকভারি করে শতভাগ ফিট থাকতে পারি। সবচেয়ে বড় জিনিসটা হচ্ছে, সুযোগ কখন আসবে তা কেউ জানে না। সবসময়ই চেষ্টা করি আমার যে ঘাটতি আছে, সেগুলো কাটিয়ে শতভাগ ফিট থাকার। যাতে সুযোগ আসলে ভালো করতে পারি। এখন যেহেতু ফিটনেস ক্যাম্প চলছে। তার ফাঁকে ফাঁকে ব্যাটিং নিয়ে একটু কাজ করব। কিপিংয়ে কিছু ঘাটতি আছে, সেগুলো নিয়েও কাজ করব। যাতে ভবিষ্যতে আরও ভালো করতে পারি।’
আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ কম পেলেও ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার সোহান। ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যোগসূত্র প্রসঙ্গে বললেন, ‘মানসিকভাবে চিন্তা করাটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় জিনিস। ঘরোয়া ক্রিকেটে আপনি যদি খেলাটা ধরতে পারেন, আমার মনে হয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলাটা তখন অনেক সহজ হয়। মানসিকভাবে যদি শক্ত থাকেন, মানসিকভাবে যদি ভালো কিছু করার চিন্তা-ভাবনা থাকে, তখন কঠিন যে সময়গুলো আসে সেটা কাটিয়ে ওঠা যায়।’