সুন্দর ও সুস্থ পৃথিবী গঠনে প্রকৃতির প্রতি মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রতিটি ধর্মই পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করছে। প্রকৃতি ও বিভিন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ইসলাম ধর্মেও রয়েছে বেশকিছু নির্দেশনা।
শত সহস্র বছর ধরে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করছে আমাদের এই দেশটিতে। অন্যান্য ধর্মের পাশাপাশি প্রকৃতি সংরক্ষণের বিষয়ে ইসলাম ধর্মেও রয়েছে তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশনা।
বৃক্ষ, নদী , পাহাড়ের, ক্ষতি হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে সবাইকে। এছাড়া বিভিন্ন নবী-পয়গম্বর ও পীর-আউলিয়াদের সাথে বিভিন্ন পশুপাখির সংশ্লিষ্টতার কারণেও মানুষ এদের সংরক্ষণ করে থাকে।
জালালী কবুতর, হুদহুদ বা সোলায়মান পাখি, বোস্তামী কাছিম, মিঠাপানির কুমির ইত্যাদি প্রাণী যুগ যুগ ধরে সংরক্ষিত হচ্ছে। এছাড়াও কিছু দরগাহ ও মাজার শরীফের আশেপাশে থাকা বানর ও হুনুমানদের খাবার দিয়ে সংরক্ষণ করে যাচ্ছেন মাজারে আগত দর্শনার্থীরা।
ইসলাম ধর্মে বিভিন্নভাবে প্রাণীজগৎ, গাছপালা, পাহাড়-নদী সর্বোপরি প্রকৃতি ও পরিবেশের কথা উঠে এসেছে বারবার। কিন্তু অনেক সময় ধর্মীয় মুল্যবোধ বা সঠিক জ্ঞান না থাকায় প্রকৃতি রক্ষায় ভূমিকা না রেখে নানা রকম ক্ষতিকর কর্মকান্ডে মাধ্যমে প্রকৃতির গতিশীল ধারাকে যেমন বাধাগ্রস্থ করা হচ্ছে, তেমনি ক্ষতি করা হচ্ছে বণ্যপ্রাণী ও তাদের পরিবেশের।
তাই দৈনন্দিন জীবনে ধর্মীয় মূল্যবোধের চর্চা ও এর সঠিক প্রয়োগের মাধ্যামে রক্ষা করা সম্ভব আমাদের প্রকৃতি ও পরিবেশ।