সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: আগে সুন্দরবনে দস্যুর ভয়ে সবাই ভীত-সন্ত্রস্ত থাকত, কিন্তু আমরা সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করে দিয়েছি। এজন্য আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাই।
বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ৫৬ জেলায় ২০ মন্ত্রণালয়ের অধীন ৩২১ টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন: যেসব প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে গেলাম আগামীতে নির্বাচিত হয়ে সেগুলো যেন বাস্তবায়ন করে দেশকে আরো এগিয়ে নিতে পারি। উন্নয়ন অব্যহত রাখতে দেশবাসীর সহযোগিতা চাই।
পুরনো ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের অর্ধেক অংশকে জাদুঘর হিসেবে ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন: বাকি অংশে পুরাতন ঢাকার শিক্ষার উন্নতির জন্য স্কুল, কলেজ, খেলার মাঠ, পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
এছাড়া পুরাতন ঢাকার মানুষের বিনোদনের জন্য সেখানে সিনে কমপ্লেক্স এবং শপিং মলের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া ১০ বছরে ৪৯০০ মেগাওয়াট থেকে ২০ হাজার ৪ শ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত উচ্চগতির ইন্টারনেট এবং নতুন নতুন রেল ও সড়ক নেটওয়ার্কের অংশ হিসাবে আরো ২৯৭ টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে । ২৪ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
১১শ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৭ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ,১০২ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ,ডেসকে ভবন, সড়ক ভবন, বেশ কয়েকটি সড়ক সেতু চালু হয়েছে। রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে গোপালগঞ্জ কাশিয়ানির মধ্যে নতুন রেলপথ।
সুন্দরবনের ৬ জেলায় আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুদের ১ লাখ করে টাকা এবং হত্যা মামলা ছাড়া অন্য মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী ।
পিরোজপুরে ৮ম চীন মৈত্রী সেতু, কালনা সেতু ,পাইপলাইনের মাধ্যমে বিমান বন্দর পর্যন্ত জেট ফুয়েল পৌঁছানোর প্রকল্প সহ ২৪ টি নতুন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী ।
রাজধানীর উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে স্বল্প ও নিম্ম আয়ের মানুষের জন্য বহুতল ভবনে ৬ হাজার ৬ শ ফ্ল্যাটও উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বস্তিবাসীর জন্য ৮ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে।