সুনামগঞ্জে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। পতিত জমিতে সরিষার ভালো ফলনে লাভবান হচ্ছেন কৃষক।
সুনামগঞ্জ সদর, ধর্মপাশা, বিশ্বম্ভরপুর ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় এ বছর বিনা-৪, বিনা-১০ ও বারি-১৪ জাতের সরিষা বেশী আবাদ হয়েছে। পতিত জমিতে সরিষা আবাদে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক। স্থানীয় এক কৃষক বলেন, সুনামগঞ্জ ফলনটা অন্য বছরের থাইকা এইবার অনেক ভালো হইছে।
ফলন ভালো হওয়ায় আগামী বছর আরো বেশী জমিতে সরিষা আবাদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন কৃষক। স্থানীয় কৃষকরা সরিষা চাষের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং সরকারের সাহায্য প্রত্যাশা করেন।
জেলায় এবার এক হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে কৃষি বিভাগ। আবাদ হয়েছে এক হাজার ৬৮০ হেক্টরে।
সুনামগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাহেদুল হক বলেন, এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। পতিত জমি আবাদের আওতায় আনার লক্ষ্যে যে কর্মসূচী ছিলো তার সুবাদে আবাদ এলাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি হেক্টরে এক ম্যাট্রিক টন উৎপাদন হলেও আমাদের যে সরিষা উৎপাদন হবে তার বাজার মূল্য হবে ২ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা। আগামী বছরে আমরা আরও অধিক পরিমাণে সরিষা আবাদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচী গ্রহণ করেছি।
পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ আর ভালো বীজ পেলে জেলার বিস্তীর্ণ জমিতে সরিষা আবাদ কৃষকের জন্য লাভজনক হবে।