একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতজ্ঞ, স্বরলিপিকার ও নজরুল গবেষক সুধীন দাশের স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
সুধীন দাশের পরিবারের আবেদনে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা শেষে শ্মশান এলাকায় তার দেহ ভষ্ম সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
২৫ জুন রাত ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ সুধীন দাশ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
চিকিৎসকদের মতে, তার বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যা ছিল। হাসপাতালে আনার পর তার কিডনি, লিভার, হার্টসহ শরীরের বিভিন্ন অরগান স্বাভাবিকভাবে কাজ করেনি।
সুধীন দাশকে ১৯৮৮ সালে একুশে পদক দেওয়া হয়। এরপর তাকে চ্যানেল আই নজরুল মেলায় আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। পেয়েছেন মেরিল–প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা, নজরুল একাডেমী পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা।
সুধীন দাশ ছিলেন উপমহাদেশের একজন প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ এবং সঙ্গীত গবেষক। বাংলাদেশে সঙ্গীতের ক্ষেত্রে যারা বিশেষ অবদান রেখেছেন, তিনি তাদের একজন। সঙ্গীতের প্রতিটি শাখায় তিনি সদর্পে বিচরণ করে নিজেকে সঙ্গীতের একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন। বাংলা গানকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে তার অবদান অসীম।
তার বিশেষত্ব হচ্ছে নজরুল সংগীতের আদি গ্রামোফোন রেকর্ডের বাণী ও সুর অনুসারে স্বরলিপি গ্রন্থ লেখা। সুধীন দাশ নজরুল ইনস্টিটিউট থেকে ১৬টি ও নজরুল একাডেমি থেকে ৫টিসহ মোট ২১টি খন্ডের ‘নজরুলের গানের স্বরলিপি’ গ্রন্থ বের করেন। লালনগীতির ক্ষেত্রেও তার অবদান সর্বজন স্বীকৃত। তিনিই প্রথম লালনগীতির স্বরলিপি গ্রন্থ প্রকাশ করেন।