সারাদেশে দ্বিতীয় দিনের মতো পরিবহন ধর্মঘট চলছে। ধর্মঘটে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ধর্মঘটের কারণে কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে রাজধানীসহ দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা। দূরপাল্লার পাশাপাশি স্বল্প দূরত্বেও বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছে মানুষ।
বুধবার সকাল থেকেই গাবতলী টার্মিনালসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচলে বাধা দেয় শ্রমিকরা। এমনকি জোর করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বাস বন্ধ রাখতে বাধ্য করে তারা। কয়েকটি স্থানে চালকদের মারধর করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
কোন যানবাহন না পেয়ে বেশির ভাগ অফিসগামী মানুষ পায়ে হেঁটেই তাদের গন্তব্যে রওনা হন। রাজধানী অল্প পরিমাণে সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল করলেও বাস বা অন্য যানবাহন রাস্তায় দেখা যায়নি। কয়েকগুণ বেশি ভাড়ায় রিক্সা করে কেউ কেউ গন্তব্যে গেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর গাবতলীর মাজার রোড মোড় থেকে আমিন বাজার পর্যন্ত রাস্তায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা।
এ সময় আমিনবাজারে বেশ কিছু প্রাইভেট গাড়িতে ভাংচুর চালায় শ্রমিকরা। হামলা চালানো হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সের ওপরও। পথে পথে আটকানো হয়েছে সবজি পরিবহনকারী ট্রাক।
মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ, সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বাসচালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। আরেকটি মামলায় সোমবার ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২০০৩ সালে সাভারে ঘটা একটি ঘটনায় ট্রাক চালক মীর হোসেন মীরুকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
এ দুই রায়ের প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন শ্রমিকরা। যদিও তারা বলছে, ধর্মঘট নয়, কর্মবিরতি পালন করছে।
ছবি: জাকির সবুজ