সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয় স্বীকার করে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই পরাজয়ের পেছনে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা দায়ী।
মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে তিন সিটির নির্বাচন নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সিলেটে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে ফলাফল এরকম হতো না। সিলেট ও কুমিল্লায় আমাদের পরাজয়ে সাংগঠনিক দুর্বলতা কাজ করেছে। সিলেটে হারলেও ভোটে তেমন ব্যবধান নেই।
সড়কে দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, সড়কে দুটি মূল্যবান প্রাণ ঝরে গেছে। আমরা মর্মাহত। সরকার চুপ করে বসে নেই। এ বিষয়ে সরকার কঠোর, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। ঘাতক গাড়িও আটক করা হয়েছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা শান্ত হও। ক্যাম্পাসে ফিরে যাও। পড়াশুনায় মনোনিবেশ করো।
সিলেটে বিএনপির বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট চলাকালীন নির্বাচন নিয়ে নানান নাটকীয়তা করেছিলো বিএনপির প্রার্থী। ফলাফলও প্রত্যাখান করেছিলো তারা। রাতে ফলাফল শোনার পর পাল্টে যায় এই চিত্র। বিজয়ী চিহ্ন দেখান তিনি। বিএনপি কি সিলেটে পুনরায় নির্বাচনের দাবি করবেন?
নির্বাচন নিয়ে কয়েক দিন বিএনপি তামাশার নাটক মঞ্চস্থ করেছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, বরিশালে বিএনপির প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে যাবেন এটা দক্ষিণ অঞ্চলের পত্র-পত্রিকাগুলো আগেই লিখেছিলো। নিশ্চিত পরাজয় জেনেই মজিবর রহমান সারোয়ার সরে গেছে।
তিনি বলেন, রাজশাহীতে বিএনপি প্রার্থীর পাশে দলের কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি। তিনি পরাজয়ের বিরহে কাতর ছিলেন। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার নীল নকশা করেছিলো বিএনপি। জনগণ তাদের নীল নকশা ভন্ডুল করে দিয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দুই সিটি নির্বাচনে বিজয় এটাই প্রমাণ করে জনগণ সরকারের উন্নয়নের পক্ষে। জনগণ হাওয়া ভবনের মতো বিকল্প ভবন দেখতো চায় না। সন্ত্রাস-দুর্নীতির জন্য রাস্তা হারিয়ে ফেলেছে দলটি।
সোমবার অনুষ্ঠিত তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বরিশাল ও রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ ব্যাপক জয় পেলেও সিলেটে এগিয়ে থাকে বিএনপি।
স্থগিত দুই কেন্দ্রের ভোট বাদে সিলেটে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ৯০ হাজার ৪৯৬ ভোট। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমেদ কামরান পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৮৭০ ভোট।
বিএনপির প্রার্থী ৪ হাজার ৬২৬ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। তবে সেখানে স্থগিত হওয়া দুই কেন্দ্রের ভোটসংখ্যা ৪ হাজার ৭৮৭। সেই দুই কেন্দ্রের ভোট না হওয়া পর্যন্ত নতুন মেয়রের নাম ঘোষণার ক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে।