মাত্র ৩ রানের জন্য নাগাল পাননি শতকের। শেষদিকে মারমুখী হতে গিয়ে ৯৭ রানে কাটা পড়েন সাকিব আল হাসান। আউট হওয়ার আগে তামিম ইকবালের সঙ্গে জুটি বেধে যা করেছেন তাতেই বাংলাদেশ পেয়েছে জয়ের ভিত। পরে বল হাতে মাশরাফী-মিরাজ-মোস্তাফিজরা এনে দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজে লিড।
টাইগারদের সামনে এবার এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয়ের হাতছানি। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডে শুরু বাংলাদেশ সময় বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায়। ম্যাচটা জিততে পারলে ৯ বছর পর বিদেশের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজের ট্রফি নিশ্চিত হবে টাইগারদের। এমন ম্যাচের আগে সাকিব বলছেন, জিততে হলে আগের ম্যাচের চেয়েও নিজেদের বেশি উজাড় করতে দিতে হবে।
‘আমরা যখন খেলতে নামি, অবশ্যই চাই প্রতিটি ম্যাচই জিততে। কালকে আরও বেশি এফোর্ট দিতে হবে। কারণ আমি নিশ্চিত যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করবে। গায়ানায় জিতে থাকতে পারলে সেন্ট কিটস নিয়ে আর টেনশনে থাকতে হবে না।’
টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে ওয়ানডে সিরিজে। গায়ানায় প্রথম ম্যাচে তুলেছে ৪৮ রানের দারুণ এক জয়। সিরিজ হার ঠেকাতে স্বাগতিক দল যে দ্বিতীয় ম্যাচে মরিয়া হয়ে উঠবে ভালো করেই জানা সাকিবের। সেটি মাথায় রেখে নিজেদের আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে, এমনটাই মনে করেন এ অলরাউন্ডার।
দ্বিতীয় ওয়ানডের ভেন্যু গায়ানা বলে ভালো খেলার বাড়তি আত্মবিশ্বাসও পাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাওয়া জয়টি এই মাঠেই। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে এই মাঠে বাংলাদেশ খেলেছে দাপুটে ক্রিকেট। সাকিবের মতে এখানকার কন্ডিশন অনেকটা বাংলাদেশের মতোই!
‘আমরা জানি যে পুরো ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভেতরে গায়ানায় স্পিন সহায়ক উইকেট হয়। পুরোপুরি না হলেও কিছুটা বাংলাদেশের মতো। এখানে দেখবেন ঘাস, মাটি দেখতে আমাদের দেশের মতোই। এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক দিক। আমাদের সামনে গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচ। আমরা সেটা নিয়ে ফোকাস করছি।’