বাংলাদেশ পুলিশের সার্বিক সহযোগিতায় ‘অর্জন ৭১’ নামের একটি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সিনেমার মহরত অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে। শুরু থেকেই এফডিসির ৮ নম্বর ফ্লোরকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়াকড়ি থাকা স্বত্বেও ওই মহরত অনুষ্ঠান থেকে চিত্রনায়িকা শাহনূরের ব্যাগ ও দুটি ফোন চুরি হয়ে যায়।
‘অর্জন ৭১’-এর মহরত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, আ’ লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, মুশফিকুর রহমান গুলজার, ছবির পরিচালক, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু, ওমর সানী, মৌসুমি প্রমুখ।
বিকেল ৪টার দিকে অনুষ্ঠান শুরুর পর নায়িকা শাহনূর মঞ্চে উঠেছিলেন আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করার জন্য। মঞ্চ থেকে নেমেই নিজের ব্যাগ হারানোর কথা জানান তিনি। এ সময় চারদিকে হৈ চৈ পড়ে যায়। শাহনূর বলেন, আমার আসনে ব্যাগ রেখে মঞ্চে উঠেছিলাম। নেমে দেখি ব্যাগ ও এর ভেতরে দুটি ফোন নেই। তিনি বলেন, ব্যাগে প্রয়োজনীয় বেশ কিছু জিনিসপত্র ছিল।
জানা যায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ডিএমপি কমিশনারসহ একাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেকারণে সেখানে শ’খানেক পুলিশ নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন। এর মধ্যেই শাহনূরের ফোন ও মানিব্যাগ চুরি হওয়ার বিস্ময় প্রকাশ করেন অনেকেই। ঘটনাটি উপস্থিত পুলিশদের জানানো পরই শাহনূরের ব্যাগ খোঁজার তোড়জোড় শুরু হয়। এফডিসির গেটে বসানো হয় চেকপোস্ট। এরপর সাংবাদিকসহ সবার পকেট ও ব্যাগ চেক করা হয়। কিন্তু চুরি যাওয়া দুটি ফোন কিংবা মানিব্যাগ কোথাও পাওয়া যায়নি।
এমন কাণ্ডে বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন মহরত অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিকসহ সুধীজন। এসময় ‘অর্জন ৭১’-এর নির্মাতার এমন অগোছালো অনুষ্ঠান আয়োজনেরও সমালোচনা করেন কেউ কেউ।
‘অর্জন ৭১’ ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করবেন মৌসুমি, শতাব্দী ওয়াদুদ, আফফান মিতুলসহ অনেকে। একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করবেন নায়িকা শাহনূরও।
একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হবে ছবিটি। মুক্তিযুদ্ধের সময় পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন আবদুল কাদের মিয়া। ১৯৭১ সালে ১ জুন তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার জীবন গল্পের উপর নির্মিত হবে ‘অর্জন ৭১’। এতে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের মিয়ার চরিত্রে অভিনয় করবেন শতাব্দী ওয়াদুদ। আর তার স্ত্রী ফিরোজার চরিত্রে দেখা যাবে মৌসুমীকে।
মহরত অনুষ্ঠানের জানানো হয়েছে, ঈদুল আযহার পর থেকে সিনেমাটির দৃশ্য ধারণের কাজ শুরু হবে। এফডিসি, রাজারবাগ পুলিশ লাইনসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে শুটিং হবে সিনেমাটির। নির্মাণের পাশাপাশি ছবির চিত্রনাট্য, সংলাপ লিখেছেন পরিচালক মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেন নিজেই।