সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর রাশেদ মোহাম্মদ সিনহা হত্যা মামলায় ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। ঘটনার চার মাস ৭ দিন পর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাবের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম।
রোববার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে তিনি কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ’র আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২৬ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে মামলার নানা বিষয় তুলে ধরা হয়।
১৫ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১৪ জন কারাগারে রয়েছে। বাকি একজন পুলিশের এসআই সাগর দেব পলাতক রয়েছে। অভিযুক্ত ওসি প্রদীপও কারাগারে রয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার স্বার্থে ৮৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন।
হত্যার জন্য ওসি প্রদীপকে দায়ী করে এই হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত বলে উল্লেখ করা হয়।
গত ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
৫ আগস্ট সিনহা শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। পরদিন ওসি প্রদীপসহ অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা আত্মসমর্পণ করে।
এরপর মামলার তদন্ত র্যাবকে দেওয়া হয়। পরে এপিবিএনের তিন সদস্য ও পুলিশের মামলার সাক্ষী তিনজনকে আটক করে।
অভিযুক্ত ১৫ জনের মধ্যে ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার দেহরক্ষী লিটন শর্মা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি।
এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করে। উক্ত তদন্ত কমিটি ৮ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়। জমা দেওয়া প্রতিবেদনে তেরোটি সুপারিশমালা দেয় তারা।