টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনায় বোনের দায়ের মামলায় চার পুলিশ সদস্যসহ সাতজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ দুপুরে সাত দিনের রিমান্ড শেষে এই সাত আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হলে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-৪ এর বিচারক তামান্না ফারাহ তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কক্সবাজার কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বেলা বেলা ১২ টার দিকে সাতজনকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। র্যাবের পক্ষ থেকে নতুন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়নি। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করার পর আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতে সোপর্দ করা ৪ পুলিশ সদস্য হলেন: কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল-মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া। এছাড়া অন্য ৩ জন পুলিশের দায়ের মামলার স্বাক্ষী। এরা হলেন: টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াজ।
গত ১২ আগস্ট আদালত ৪ পুলিশ সদস্যসহ এ ৭ জন আসামীর প্রত্যকের ৭ দিন করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
অন্যদিকে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা, তার সহকর্মী শিপ্রা দেবনাথ ও সিফাতের ব্যবহৃত ল্যাপটপ, হার্ডডিস্ক, পেনড্রাইভসহ ২৯টি উপকরণ আজ র্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তার হেফাজতে নেওয়ার কথা রয়েছে।
বুধবার রাতে কক্সবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানা র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো: রাশেদ।