চট্টগ্রাম থেকে: অনুশীলনে সংবাদমাধ্যমের লেন্স শুধু খুঁজে বেড়ায় ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সকে। তার কাজের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও আস্থা সবার। সে তুলনায় হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো একটু পিছিয়েই। আরও একটি জায়গায় সিডন্স এগিয়ে, সেটি হলো অভিজ্ঞতায়।
২০০৭ সাল থেকে চার বছর টাইগারদের হেড কোচ ছিলেন সিডন্স। আফগানিস্তান সিরিজ থেকেই নতুন ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে তাকে। ডমিঙ্গো এবং সিডন্সের মধ্যে ইগো সমস্যা তৈরি হয় কি না, তা নিয়ে দেশের ক্রিকেটে অনেক আলোচনা থাকলেও ব্যাপারটি আসলে সেরকম নয়।
বৃহস্পতিবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমকে ডমিঙ্গো বলেছেন সিডন্সকে নিয়ে, ‘দেখুন, সে অনেক অভিজ্ঞ এক কোচ। বিশ্বজুড়ে কোচিং করিয়েছেন। এখানকার সিস্টেম সে জানে, অনেক খেলোয়াড়কে সে চেনে। হয়তো আমার চেয়েও ভালো জানে, কারণ আগেও সে এখানে ছিল। তাই তাকে পেয়ে ভালো লাগছে। কোচিং স্টাফে সে অনেক অভিজ্ঞতা বাড়িয়েছে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালও সিরিজ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে তাদের নিয়ে বলেন ‘আমরা একটা দল। রাসেল হেড কোচ হয়ে সেই দলের অংশ, আর জেমি ব্যাটিং কোচ হয়ে। আমার মনে হয় না এটা নিয়ে আমাদের আলাদাভাবে চিন্তা করার কিছু আছে। যারা এই দলে আছে, তারা সবাই মিলেই বাংলাদেশ দল। ম্যানেজমেন্ট বলুন, খেলোয়াড় বলুন, আমরা সবাই এক। এভাবেই আমরা এগোতে চেষ্টা করব। দূরত্ব থাকলে ভালো কিছু হবে না। খেলোয়াড়-স্টাফ আমরা সবাই জানি আমরা একটি দল। ভালো খেলি খারাপ খেলি, একসঙ্গেই থাকব আমরা।’