প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর চকবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মাহফুজ রিবেন চ্যানেল আই অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রাত তিনটায় সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান বলেছেন চকবাজারে আগুনের ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ভবনে এখন ডাম্পিং করা হচ্ছে।
অগ্নিকাণ্ডের পর এখন পর্যন্ত যে দগ্ধ ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তারা হলেন- রেজাউল (২১), জাকির হোসেন (৫০), সেলিম (৪৫) আনোয়ার (৫০) মোস্তাফিজ (৪০), জাহিদুল (২৮), ইভান (৩০), মাহমুদ (৫৭), রামিম (১২), সালাউদ্দিন (৫০), মোজাফ্ফর হোসেন (৩২) সোহাগ (২৬) সোহান (৩৫) ফজর আলী (২৫), হেলাল (২৫) ও সুজন (৪০)। এদের মধ্যে প্রথম দু’জনের অবস্থা গুরুতর।
যারা আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে- আল আমিন (৩৫), কাউছার (৩০), জাহাঙ্গীর (২৩), ছালাম (৩০), রবিউল (৪০), সালাউদ্দিন (৩৪), আনিছুর রহমান (৫০), তানজিল (১৪), রমজানের (১২) নাম জানা গেছে। এদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত আছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, দগ্ধদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। জরুরি বিভাগ ও বার্ন ইউনিটে তাদের চিকিৎসা চলছে।
এদিকে আগুনের সূত্রপাত কীভাবে, এ বিষয়টি এখনো নিশ্চিত না হলেও বৈদ্যুতিক টান্সফরমার থেকে চকবাজারে ভয়াভহ আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। তারা বলছেন, প্রচণ্ড শব্দে বিদ্যুৎ বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার বিস্ফরণের পর তা থেকে ছুটে আসা আগুন পাশে থাকা কেমিক্যাল গোডাউনে পড়লে সেখান থেকে অগ্নিকাণ্ড দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
শুরুতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ড শুরু এমন ধারণা করা হলেও এলাকাবাসী জানায়, ট্রান্সমিটার বিস্ফোরণ থেকেই আগুনের সূত্রপাত। এরপর কেমিক্যাল গোডাউন থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে পাশে থাকা হোটেল এবং বসতবাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার আগুনের আঁচে বিস্ফোরিত হতে থাকলে সঙ্গে সঙ্গে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।