বলিউডের খান সম্রাজ্যের প্রভাব এখন আকাশ তুঙ্গে। কি টেলিভিশন, কি বিজ্ঞাপন আর কি সিনেমা; সব জায়গাতেই যেনো খানদের প্রভাব শক্তিশালী। গত বৃহস্পতিবার এর প্রমাণ আরো একবার মিললো বোম্বে হাইকোর্টে। গাড়িচাপা মানুষ হত্যার করা মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড থেকে বেকাসুর খালাস পেয়েছেন বলিউডের প্রভাবশালী নায়ক সালমান খান।
২০০২ সালের গাড়ি চাপা দিয়ে অনিচ্ছাকৃত হত্যার মামলায় রেহাই পেয়েছেন সালমান খান। ১৩ বছরের উদ্বেগ বদলে গেছে এ রায়ের মাধ্যমে। হাফ ছেড়ে বলিউডের একাধিক প্রযোজক, বিজ্ঞাপন সংস্থা ও টেলিভিশন চ্যানেল কর্তৃপক্ষ বেঁচেছেন।
যশ রাজ ফিল্মসের ব্যানারে ‘সুলতান’ নামের নতুন একটি ছবির কাজ করছেন সালমান। ছবির শুটিং এরইমধ্যে শেষ পর্যায়ে। সালমানের পাঁচ বছর কারাদণ্ডের সাজা বহাল থাকলে শেষ লগ্নে বিপাকে পড়তেন প্রযোজক আদিত্য চোপড়া। ‘সুলতান’ ছাড়াও আরো কিছু বিগ বাজেটের ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। তালিকায় রয়েছে বক্স অফিস কাঁপানো ‘কিক’ ‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’ ও প্রেম রতন ধান পায়ো’র মতো ছবি।
সিনেমা ছাড়াও টেলিভিশন রিয়েলিটি শো (বিগ বস ৯) সঞ্চালনার কাজও করছেন বাজরাঙ্গি ভাইজান। সঞ্চালক হিসেবে সালমানের দক্ষতাই টিআরপির শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে এ অনুষ্ঠানটিকে। মাঝপথে সালমান চলে গেলে নিঃসন্দেহে বড়সড় ধাক্কা খেতেন প্রয়োজকরা।
তাছাড়া অন্তত আটটি বহুজাতিক সংস্থা তাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে টাকা ঢেলেছেন সাল্লু ভাইয়ের উপর। ফলে, সালমানের শাস্তি মানে বিপুল আর্থিক ধস।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর ৫০’এ পা দিচ্ছেন দাবাং খান। হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে একযোগে বলিউড বলছে, ‘জন্মদিনের সেরা উপহার পেলেন সালমান’। নিজের রায়ের কথা শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন তিনি।
বাবা সেলিম খান ছেলের এমন রায়ে ভীষণ খুশি। আদালতে ছেলের সঙ্গে যেতে না পারলেও ফোনে সালমানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
পরিবারের পাশাপাশি কাছের বন্ধু ও প্রতিপক্ষ শাহরুখ খানও রয়েছে তার পাশে। রায়ের পর শাহরুখ খান টুইটারে বলেছেন, বিতর্কে যেতে চাই না। ব্যক্তিগত ভাবে বলছি, ও আমার বন্ধু, সহকর্মী, দীর্ঘ সময় ধরে একে অপরকে চিনি আমরা। ওর ভালো হলে আমাদের সবারই ভালো লাগে।’
শাহরুখ ছাড়াও বলিউডের প্রায় সবাই সালমানের রায়ে খুশি। যারা সালমানের আদলে বলিউডে পা রেখেছেন তাদের মধ্যে জ্যাকুলিন, জেরিন খান, ডেইজি শাহ’র মতো নায়িকারা এসেছিলেন তাকে শুভেচ্ছা জানাতে।তাই বলতেই হয় সালমান খানের প্রভাব সর্বস্তরে। তাকে ধরা বা ছোঁয়ার সাধ্য বোধ হয় কারোই নেই। তিনি দাবাং খান, তিনি বাজরাঙ্গি ভাইজান।