সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ভূঁইয়াকে র্যাব পরিচয়ে সাদা পোশাকধারীরা বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তর বাড্ডার বাসা থেকে র্যাব-৩ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায় একদল সাদা পোশাকধারীরা। এসময় তার ল্যাপটপ, ফোন জব্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ও রাষ্ট্রচিন্তার আরেক সদস্য হাসনাত কাইয়ূম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘উত্তর বাড্ডার ওই বাসার একটি ফ্ল্যাটে দিদারুল থাকতেন। আর পাশের ফ্ল্যাটটি ছিল তার অফিস। সন্ধ্যায় ঠিক ইফতারের খানিকক্ষণ আগে সাদা পোশাকে কয়েকজন এসে র্যাব-৩ এর পরিচয় দিয়ে তাকে একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়।’
তার সাথে কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, যোগাযোগ করা যায় নি, তবে কিছুক্ষণ আগেও তিনি ম্যাসেঞ্জার অ্যাপে অ্যাকটিভ ছিলেন।
হাসনাত আরও বলেন, ‘দিদারুল আইটি এক্সপার্ট এবং বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনে যুক্ত। তাকে নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে কোনো ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়নি।’
“দিদারুল ধারাবাহিকভাবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের ট্রেনিং দেয়া, করোনা সম্পর্কিত বিভিন্ন টিউটরিয়াল থেকে শুরু করে ভাসমান শ্রমজীবী মানুষদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করে আসছিলেন।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাবের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখনো কিছু জানা যায় নি, তবে আমরা কখনোই উপযুক্ত তথ্য ও প্রমাণ ছাড়া কাউকে আটক করি না।’
দিদারুলকে আটকের বিষয়ে জানতে চেয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তা ধরেননি র্যাব-৩ এর কয়েকজন কর্মকর্তারা।