বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাব্বির হত্যার ঘটনা আড়াল করতে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে করা মামলা বাতিল চেয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৪ জনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালত রায়ে বলেছেন, মামলার কার্যক্রম চলবে বিচারিক আদালতে। তবে শর্ত সাপেক্ষে তারেক রহমানসহ এই মামলার অন্য আসামীদের জামিন বহাল থাকবে।
২০০৬ সালে সাব্বির হত্যার ঘটনায় মামলা হয়। এই ঘটনা আড়াল করতে ২১ কোটি টাকার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। পরে তার সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার পর একই বছর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিচারিক আদালত।
ওই সময়ে তারেক রহমানসহ ৪ জনের মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করলে হাইকোর্ট ওই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। প্রায় ৯ বছর পর রুলের শুনানি শেষে রায় দেন হাইকোর্ট। দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, রুলটি খারিজ করে দেওয়ার ফলে নিম্ন আদালতে মামলা চলতে আইনগত কোনো বাধা নেই। আদালত এও বলেছেন ওনারা জামিনে থাকবেন যদি কেউ জামিনের মিস ইউজ করে ট্রায়াল কোর্টে একটা বিবাদী থাকবে জামিন কেটে দেওয়ার। তিনি আরো বলেন, কী হবে না হবে সেটা বিচারিক আদালত দেখবে। সাক্ষ্য প্রামাণের ভিত্তিতে বিচার চলবে।
হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় ঘোষণার পর নিজেদের অবস্থান জানান তারেক রহমানের আইনজীবী। তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, দুদকের যে অভিযোগ আছে তাতে তারেক রহমান ব্যক্তিগতভাবে টাকা লেনদেন করেছেন এমন কিছু বলা নেই। আমরা মনেকরি এ মামলা চলতে পারে না। আমরা তারেক রহমানের সাথে কথা বলবো, যদি তিনি নির্দেশ দেন তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ওই মামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তার আইনজীবীরা।
২০০৬ সালের ৪ জুলাই বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাব্বির খুন হলে একটি হত্যা মামলা হয়।