বাজে সময় কাটিয়ে শুক্রবার কুমিল্লার হয়ে রানে ফিরেছেন তামিম ইকবাল। একদিন পর তার পথে হাঁটলেন সাব্বির রহমান। ৭, ০, ১২, ৬, ২০ ও ১১; বিপিএলের চলতি আসরে প্রথম ছয় ম্যাচ মিলে করেছিলেন ৫৫ রান। শনিবার রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ওই মোট রান ছাড়িয়ে গেলেন সাব্বির। তার ৮৫ ও পুরানের ঝড়ে ভর করে গেইল-ডি’ভিলিয়ার্সদের সামনে ১৯৫ রানের টার্গেট দিয়েছে সিলেট সিক্সার্স।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শনিবার নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেটে ১৯৪ রান করে ওয়ার্নারের দল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে এদিনও ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আগের ম্যাচে ৭০ করা লিটন দাস। কিন্তু মাশরাফীর বুদ্ধির কাছে হেরে যান। রংপুর অধিনায়ককে আগের বলে ফ্লিক করে দারুণ এক ছক্কা মারেন লিটন। পরের বলটাও একটু মারার মতো করে দেন মাশরাফী। কিন্তু পেসটা অনেক কমিয়ে। তাতেই বোকা বনে যান লিটন। ভাসিয়ে খেলতে গিয়ে ত্রিশগজেই ধরা পড়েন ফরহাদ রেজার হাতে। ৮ বলে একটি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিতে ১১ রান তার।
ওয়ানডাউনে নেমেই উইকেটের চারদিকে শট খেলা শুরু করেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তার প্রতিটি শটের পরই দলের কোচ ওয়াকার ইউনুসের হাততালি দেয়া দেখাচ্ছিল জায়ান্ট স্ক্রিন। সেই সুখের সময়টা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি রাইলি রুশোর কারণে। সাউথ আফ্রিকান তারকার সরাসরি থ্রোতে রানআউট হন ১১ বলে ১৯ রান করা আফিফ।
এবারের বিপিএলে নিজের শেষ ম্যাচে ভালো করতে পারেননি সিলেট অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। এই ম্যাচ শেষে রাতেই দেশে ফিরবেন। আগের ম্যাচে অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংস খেলা অজি ওপেনার এদিন করেছেন ২১। অ্যালেক্স হেলসের হাতে ক্যাচ দিয়ে হয়েছেন মাশরাফীর দ্বিতীয় শিকার।
লিটন, আফিফ ও ওয়ার্নার ফিরলেও তখন সেট সাব্বির। একাকাধেঁ দলকে টেনে তোলেন। দারুণ খেলে ঝড়ো ফিফটি তুলে নেন। এ হার্ডহিটার মাত্র ৩৪ বলে ২ চারের বিপরীতে ৪ ছক্কায় পঞ্চাশ স্পর্শ করেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে নিকোলাস পুরানের সঙ্গে ৮২ রান তোলেন। পরে ৫১ বলে ৮৫ রান করে শফিউল ইসলামের বলে রুশোর হাতে ধরা পড়েন। সাব্বিরের ইনিংসে ছয়টি ছক্কার সঙ্গে ছিল পাঁচটি চারের মার।
একপ্রান্তে সাব্বিরকে ব্যাট চালাতে দেখে বসে থাকেননি পুরানাও। কাছাকাছি গিয়ে তিন রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি তুলতে পারেননি ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। চারটি চার ও তিন ছক্কায় ২৭ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।