নির্বাচনী প্রচারণায় লিবিয়ার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির জীবনকে ‘নরক করে তুলছে’। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এমনটি জানিয়ে সারকোজি বলেন, ‘কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ ছাড়াই আমাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। ’
স্থানীয় পত্রিকা লে ফিগারোর বরাতে বিবিসি এ তথ্য জানায়। বৃহস্পতিবার লে ফিগারোতে প্রকাশিত হয় ‘ফরাসি তদন্তকারীদের কাছে দেওয়া সারকোজির পূর্ণ বক্তব্য’।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৭ সালে নির্বাচনী প্রচারণায় অবৈধ অর্থায়ন, লিবিয়ার জনগণের অর্থ আত্মসাৎ এবং পরোক্ষ দুর্নীতির অভিযোগে আনুষ্ঠানিক তদন্তের মুখে রয়েছেন সারকোজি। ইতোমধ্যে এই মধ্য-ডানপন্থী রাজনীতিককে চলতি সপ্তাহে দু’বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জিজ্ঞাসাবাদে সারকোজি জানান: ২০১১ সালে অভ্যুত্থানে গাদ্দাফির পতনের পর তিনি সেখানে ফরাসি যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছিলেন। এজন্যই অভিযোগকারী লিবিয়ানরা তার উপর প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছে।
তার বিরুদ্ধে উঠা গুরুতর এই অভিযোগকে ‘অপবাদ’ বলেও দাবি করেছেন তিনি।
সারকোজির প্রশাসনের একজন মন্ত্রী এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগী ব্রাইস হোর্তেফেক্সকেও মঙ্গলবার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এছাড়া মঙ্গলবার মধ্যরাতে সারকোজিকে আটক করা হয়।
২০০৭-২০১২ সাল পর্যন্ত ফরাসি প্রেসিডেন্ট ছিলেন সারকোজি। নিজের নির্বাচনী প্রচারণায় মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে ৫০ মিলিয়ন ইউরো নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছেন গাদ্দাফির ছেলে এবং ফরাসি এক ব্যবসায়ী। এরপর প্রচারণায় ব্যবহৃত অর্থের উৎস নিয়ে ফরাসি আইন ভঙ্গ করেছেন বলে সারকোজির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে।
এর আগে ২০১১ সালে গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল ইসলাম গাদ্দাফি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার জন্য সারকোজি যে টাকা নিয়েছিলেন তা ফেরত দিতে হবে।
ফরাসি ব্যবসায়ী তাকিয়েদদিনে দাবি করেছেন, ২০০৬ ও ২০০৭ সালের মধ্যে তিনি টাকা ভর্তি তিনটি সুটকেস সারকোজির কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।