সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ব্যবসায়ীর হাতের চার আঙ্গুল কেটে নেয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কলারোয়ায় ছাত্রলীগ নেতা নাইস ও তার সহযোগীদের হাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইলেট্রনিকস ব্যবসায়ী তুষারের ডান হাতের চার আঙ্গুল কেটে নেয়ার ঘটনায় এ মামলা দায়ের হয়েছে।
শনিবার রাতে আহত তুষারের চাচা আবু সিদ্দিক গাজী বাদী হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান নাইসসহ ৭ জনকে আসামি করে এ মামলাটি দায়ের করেন।
পুলিশ ইতিমধ্যে এ মামলার অন্যতম আসামী রেজাউল ইসলাসকে গ্রেপ্তার করেছে।
অন্যদিকে এ ঘটনার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু।
আহত তুষারের বর্তমানে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছেন তার বাবা মুনসুর গাজী।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মনিরুজ্জামান জানান: এ ঘটনায় ইতোমধ্যে এ মামলার অন্যতম আসামি রেজাউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান: অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চিরুনি অভিযান চলছে।
এর আগে শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ব্যবসায়ী তুষারের ডান হাতের চার আঙুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান নাইস ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
আহতের বাবা মুনসুর গাজী জানান: পাটুরিয়া গ্রামে ৩৩ শতক জমি নিয়ে তাদের সঙ্গে মন্টুদের বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে আজ দুপুরে মেহেদি হাসান নাইসের নেতৃত্বে মন্টু, পলাশ, জুয়েলসহ কয়েকজন নেতা-কর্মী তার ছেলে তুষারকে পিটিয়ে আহত করেন। এক পর্যায়ে রামদা দিয়ে তার ডান হাতের চারটি আঙ্গুল কেটে নেন নাইস।