প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে শোক- শ্রদ্ধায় স্মরণ করলেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা।
মাহবুবে আলমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের উদ্যোগে এক ভার্চুয়াল স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। চার ঘন্টা ধরে চলা স্মরণসভায় প্রয়াত মাহবুবে আলমকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ ও বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। এছাড়া স্মৃতিচারণ করেন সাবেক ও বর্তমান অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সাংবাদিকরা। এসময় অশ্রুসিক্ত হয়ে বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চান মাহবুবে আলমের ছেলে সুমন মাহবুব ও মেয়ে শিশির কণা।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ বলেন, ‘একজন মাহবুবে আলম ছিলেন দেশের অন্যতম সেরা আইনজীবী। আইনের প্রতি নিমগ্নতা এবং তার বিনয়ী আচরণের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন,’ প্রয়াত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম মানুষকে অকাতরে সহায়তা করে গেছেন। তিনি কখনো কটু কথা বলতেন না। তিনি ছিলেন বিনয়ী ও আদর্শবান একজন মানুষ। তাকে আমরা স্মরণ করে এগিয়ে যাবো।’
রবীন্দ্র ভক্ত মাহবুবে আলমের সান্নিধ্যে থাকা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ আজ রবীন্দ্রনাথের গানের চরণ দিয়েই মাহবুবে আলমকে স্মরণ করে বলেন ‘আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে, দেখতে আমি পাই নি।….’
এছাড়া ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক প্রয়াত মাহবুবে আলমকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করার দাবী জানান। আর সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোতাহার হোসেন সাজু মাহবুবে আলমের স্মরণে একটি স্মৃতি পরিষদ গঠনের আহবান করেন।
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গত বছরের এই দিনে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মাহবুবে আলম ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারিতে দেশের ১৫তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন।