চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সাত খুন: বিচার দ্রুত করার দাবি

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলার প্রধান আসামী নূর হোসেনকে দ্রুত বিচারিক কার্যক্রমের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করে আসল খুনীদের বের করার তাগিদ দিয়েছেন খুন হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা।

শুক্রবার নূর হোসেনকে আদালতে নেওয়ার সময় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অনেকেই। তারা বলছেন, নূর হোসেনকে দ্রুত কারাগারে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে, যে কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলো। কারা অর্থের যোগান দিয়েছে।

এ সময় হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।  তারা সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের দাবি করেন।

আলোচিত হত্যার শিকার পরিবারের সদস্যরা বলেন, পাঁচজন এজাহারভুক্ত আসামীদের চার্জশিট ভুক্ত করা হয় নাই। তারা সব সময়ই আমাদের বিভিন্ন রকমের হুমকি দিয়ে আসছে, এমনকি মৃত্যুর ভয়ও দেখাচ্ছে।

এসব পরিবারগুলোর সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তার জন্যও আবেদন জানিয়ে বলেন, আমাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তারা অনেকেই আর্থিকভাবে স্বচ্ছল নয়, তাই তারা আর্থিক সহায়তাও চাইছেন।

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, নূর হোসেনের বিরুদ্ধে ৬টি হত্যা সহ ১৩টি মামলা রয়েছে। ১০টি মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কারো বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু হলে তাকে রিমান্ডে আনার সুযোগ নেই।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়।

নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম সে সময় অভিযোগ করেন, র‌্যাবকে ৬ কোটি টাকা দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেন ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। পরে র‌্যাবের অভ্যন্তরীণ তদন্তেও তার সত্যতা পাওয়া যায়।

হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক বছর পর গত ৮ এপ্রিল নূর হোসেন এবং র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেন নূর হোসেন। এক পর্যায়ে নিরুদ্দেশ হন সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামী লীগের এই নেতা।

এরপর ২০১৪ সালের ১৪ জুন কলকাতার দমদম বিমানবন্দরের কাছে কৈখালি এলাকার একটি বাড়ি থেকে দুই সহযোগীসহ তাকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।