বুধবার মধ্য দুপুর। রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ। দৌড়ে পালাচ্ছে বছর পঁচিশের এক যুবক। তার ঠিক পেছন পেছন দৌড়াচ্ছেন কয়েকজন পুলিশের কনস্টেবল। চিৎকার করছেন ধর ধর বলে। উঁকি ঝুঁকি দিয়ে তা দেখছে কিছু উৎসুক জনতা।
না, এটা বাংলা সিনেমার কোনো শুটিংয়ের দৃশ্য নয়। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের সাজা শুনে এভাবেই ভোঁ দৌড় দেয় গাবতলী-সায়েদাবাদ রুটে চলা আট নম্বর বাসের চালক মিলন।
তবে তার সিনেমার নায়কোচিত কায়দায় এ দৌড়েও শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়তে হয়েছে তাকে।
রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে রাজধানী স্কুলের সামনে বুধবার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসেছিল। সকাল থেকেই যানবাহনের ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও বিআরটিএ।
এ সময় লাইসেন্স না থাকায় আট নম্বরের বাস চালক মিলনকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
কারাদণ্ডের পর মিলনকে রাখা হয় পাশের ট্রাফিক বক্সে। এর এক ফাঁকে জানালা খুলে সেখান থেকে সাজাপ্রাপ্ত মিলন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তবে তার পিছু নেয় কয়েকজন পুলিশ সদস্যেও।
এ সময় পেছন থেকে পুলিশ সদস্যরা ‘ধর ধর’ বলে চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি সাহায্য করতে। ততক্ষণে আসামি মিলন খামারবাড়ি মোড় পার হয়ে উঠে পড়ে মিরপুরগামী একটি বাসে।
শেষ পর্যন্ত পালাতে পারেনি মিলন। ওয়ারলেস যোগাযোগের মাধ্যমে একটু সামনেই অন্য পুলিশ সদস্যরা সেই বাস থামিয়ে মিলনকে আটক করে।
মিলন তখন চিৎকার করে বলতে থাকে, ‘স্যার আমার লাইসেন্স ছিল, পরে লাইসেন্স আনায়ে আপনাদের দেখাইলাম। কিন্তু আপনারা আমার কথা না শুইনাই সাজা দিয়া দিলেন।’
পুলিশের দাবি, মিলনের সঙ্গে লাইসেন্স ছিল না। লাইসেন্স থাকলেও তা সঙ্গে না রেখে গাড়ি চালানো অপরাধ।