সৌম্য ও সাকিবের শতরানের জুটিতে ভালোই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। রান খরায় দুঃসময় আর চাপকে পেছনে ফেলার ঝলমলে ফিফটিকে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন সৌম্য সরকার। মধ্যাহ্ন বিরতির পর ৮৬ রানে ফিরেছেন। কিন্তু সৌম্যর বিদায়ের পর দ্রুতই ফিরে যান সাব্বির রহমান আর সাকিবও। বোল্টের বলে সাউদিকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাব্বির (৭)। পরের ওভারে সাউদির লেগ স্টাম্পের বাইরে বলে উইকেটকিপার ওয়াটলিংকে ক্যাচ দেন সাকিব (৭৮ বলে ৯ চারে ৫৯)। ২ উইকেটে ১৬৫ থেকে বাংলাদেশের স্কোর তখন ৫ উইকেটে ১৭৯। ১৭ বল আর ১৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সফরকারীরা।
সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই সাজঘরে হাঁটা দিয়ে বিপদ বাড়িয়েছেন সাব্বির রহমান। দ্রুত তাকে অনুসরণ করে সাকিব আল হাসান বিপদ আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন।
শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে পানি পানের বিরতির আগ পর্যন্ত ৪৭.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান তুলেছে বাংলাদেশ। উইকেটে আছেন দুই অভিষিক্ত নাজমুল হোসেন শান্ত ৭ ও নুরুল হাসান সোহান ২৫ রানে।
এর আগে ক্রাইস্টচার্চে টস হারার মধ্য দিয়ে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয়েছে তামিম ইকবালের। মুশফিকুর রহিমের ডেপুটি সাদা পোশাকে অধিনায়কত্বের শুরুটা অবশ্য স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না। ব্যাটিংয়ের প্রথম ইনিংসটা ৫ রানেই থেমেছেন। টিম সাউদির বলে উইকেটের পেছনে বিজে ওয়েটলিংকে ক্যাচ দিয়ে তামিম।
পরে ট্রেন্ট বোল্টের বলে ওয়েটলিংকেই ক্যাচ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩ চারে ২৪ বলে ১৯ রানে ফিরেছেন প্রথমবার তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নামা অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।
পরে সাকিবকে নিয়ে ১২৭ রানের জুটি গড়ে দারুণ জবাব দিচ্ছিলেন সৌম্য। বোল্টের বলে গ্র্যান্ডহোমকে ক্যাচ দিয়ে যার ইতি ঘটেছে। ফেরার আগে ১১ চারে ১০৪ বলে ৮৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি সৌম্য।
চোট জর্জরিত বাংলাদেশ দলে চারটি পরিবর্তন এসেছে।