দেশে থাকলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করার সুযোগ পাচ্ছেন না সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। করোনার কারণে আইপিএল মাঝপথে বন্ধ হওয়ার পর চার্টার্ড ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার ভারতের আহমেদাবাদ থেকে দেশে ফেরেন দুই টাইগার তারকা।
বিমানবন্দর থেকেই ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন করতে তাদের সরাসরি উঠতে হয় হোটেলে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সিরিজ বিবেচনায় স্বাস্থ্য অধিদফতর দুই ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল না করলে যথাযথভাবে প্রস্তুত হতে পারবেন না তারা।
লঙ্কানদের বিপক্ষে মিরপুরে টাইগারদের তিন ম্যাচের সিরিজ শুরু ২৩ মে। আর সাকিব-ফিজের কোয়ারেন্টিন শেষ হবে ২০ মে। দুই সপ্তাহ মাঠের বাইরে থেকে মাঠে নামা সাকিব-মোস্তাফিজের জন্য খুব কঠিন। ফলে তাদের কোয়ারেন্টিন কমানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যোগাযোগ করছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে।
এ ব্যাপারে শনিবার মিরপুরে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘একটা জিনিসে আমরা কনফিউজড হয়ে আছি সবাই। এখানে এটা কোনও স্পেশাল বা প্রিভিলাইজডের বিষয় না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা বিশ্বের খেলাধুলাতে আলাদা প্রটোকোল আছে। আমাদের দেশের যে প্রটোকোল আছে, সেগুলো কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য। ক্রীড়াবিদদের জন্য প্রটোকল কিন্তু পুরোপুরি ভিন্ন।’
উদহারণ টেনে তিনি বলেন, ‘সাধারণ যাত্রীরা যাত্রীবাহী বিমানে আসছেন। তারা একটা টেস্ট নেগেটিভ দিয়ে আসছেন। সরকারের প্রটোকল মেইনটেইন করছেন। সেক্ষেত্রে আর কোনও টেস্টেও যাচ্ছেন না। কিন্তু আমাদের স্পোর্টস ইভেন্টে যারা অংশগ্রহণকারী হন, তারা কিন্তু নির্দিষ্ট প্রটোকল মেনে আসতে হয়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট পরীক্ষা তাদের করতে হয়। টেস্টে নেগেটিভ হলেই অংশ নিতে পারে।’
‘আপনারা জানেন নিউজিল্যান্ড করোনামুক্ত। সেখান থেকে কিন্তু বাংলাদেশ দল খেলে এসেছে। ইভেন্টের ক্ষেত্রে কোভিড প্রটোকোল সাধারণ জনগণের সঙ্গে সম্পূর্ণ আলাদা।’
এদিকে আজই বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এমন অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদফতর শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটিই দেখার।