ম্যাচটা যখন বাংলাদেশের দিকে হেলে পড়ছে, তখন ধারাভাষ্যকার হার্সা ভোগলে বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন, সাকিব-তামিম-সাইফউদ্দিনকে ছাড়া লড়ছে দলটা। একদমই তরুণ নাঈম-আফিফ-আমিনুলদের নিয়ে আসা দলটিই জয়ের খুব কাছে। শেষঅবধি সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টিতে জিতেছে সাকিব-তামিম বিহীন বাংলাদেশই।
মুশফিকের ব্যাটে আসা টানা চার বাউন্ডারি যেমন প্রশংসা কুড়িয়েছে, তেমন করে পুরো দলই পেয়েছে বাহবা। ‘সাকিব-তামিম’ জুজু সরিয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জেতাতে বড়দের সঙ্গে ভূমিকা রাখেন নবীন ত্রয়ী।
আমিনুল ও আফিফ রেখেছেন বোলিংয়ে অবদান। ব্যাটিংয়ে নাঈম। দলগত প্রচেষ্টার এক সম্মিলন ঘটিয়েই ভারতকে প্রথমবার টি-টুয়েন্টিতে পরাজিত করল বাংলাদেশ।
কিছু ঘটনা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নিয়ে গিয়েছিল অন্ধকারে! মাঠের টিম পারফরম্যান্সেই জ্বলল নিভে যাওয়া প্রদীপ। দিল্লির কুয়াশাময় দূষণের মাঝেই বাংলাদেশ দেখল জয়ের সূর্য। বড় হল আশা।
বাকি দুই ম্যাচের একটি জিতলেই মুঠোয় চলে আসবে সিরিজের ট্রফি। ভারতের মাটিতে কোনো ফরম্যাটেই যখন সিরিজ জেতার পথ রচনা করতে পারে না বাঘা বাঘা দলগুলো, সেখানে তরুণদের নিয়েই বাংলাদেশ করছে বড় প্রাপ্তির খোঁজ।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, সাকিবের না থাকা চাপ নয়, বরং ভালো করার অনুপ্রেরণা হিসেবে নেবেন তিনি। অধিনায়কের কথার অনুরণন যে পুরো দলের মাঝেই ছড়িয়েছে তা স্পষ্ট হল প্রথম ম্যাচেই!