উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ ব্যাটসম্যান জোমেল ওয়ারিকেন। তাকে আউট করতে পারলেই পূর্ণ হতো চক্র। সুযোগটা দেননি সতীর্থ তাইজুল ইসলাম। নিজের ৩৪তম ওভারের প্রথম বলেই ওয়ারিকেনকে বোল্ড করে ক্যারিবীয় ইনিংস থামিয়ে দেন টাইগার বাঁহাতি স্পিনার, তাতে সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর পাশে অভিজাত এক শ্রেণিতে অল্পের জন্য ঠাঁই পাওয়া হল না মেহেদী হাসান মিরাজের।
একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট- এমন দুর্দান্ত অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স টেস্ট ক্রিকেটে দেখা গেছে সবমিলিয়ে ৩২বার। শুক্রবার তালিকায় আরও একটি নাম প্রায় যোগই হচ্ছিল, ক্যারিবীয়দের ৪ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে কাজটা প্রায় সেরে ফেলেছিলেন মিরাজ। সেটা হল না তাইজুলের মধুর যন্ত্রণার কারণে!
তৃতীয় দিনের শুরুতে বিপজ্জনক কাইল মেয়ার্সকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে উইকেট শিকারে যোগ দেন মিরাজ। দ্বিতীয় সেশনে কট বিহাইন্ড করে ফেরান ক্যারিবীয়দের সেরা ব্যাটসম্যান জার্মেইন ব্লেকউডকে।
রাকিম কর্নওয়েল ও কেমার রোচের পর মিরাজের পঞ্চম শিকার হতে পারতেন ওয়ারিকেন, কিন্তু তাইজুলের ওভারেই সব শেষ। অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসে আরেকবার সুযোগ পাবেন মিরাজ।
এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেটের অভিজাত ক্লাবে বাংলাদেশ থেকে সবার আগে নাম লেখান সাকিব আল হাসান। ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ১৪৪ ও পরে বল হাতে ৮২ রানে ৬ উইকেট নেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার।
২০১৪ সালে আরও একবার এই কীর্তি গড়েছেন সাকিব, প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। খুলনায় সেই ম্যাচে আরেকটি দারুণ কীর্তি গড়েন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। টেস্ট ইতিহাসে মাত্র ক্রিকেটার হিসেবে এক ম্যাচে সেঞ্চুরির সঙ্গে নেন ১০ উইকেট। সাকিবের আগে কেবল দুই কিংবদন্তি ইয়ান বোথাম ও ইমরান খানের নামের পাশেই ছিল এই রেকর্ড।
সাকিবের দুই কীর্তির মাঝখানে নাম লেখান সোহাগ গাজী। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আটে নেমে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিতে ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন গাজী। কিউইদের দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতেও ছিলেন দুর্দান্ত, ৭৭ রানে ৬ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ এক ড্র এনে দেন বাঁহাতি স্পিনার।