ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) এবার মৌসুমে গ্রুপপর্বে নিজের প্রথম তিন ম্যাচেই দারুণ পারফর্ম করেছিলেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। ব্যাট ও বল দুই বিভাগে তার নৈপুণ্যেই কোয়ালিফায়ারে যায় তার দল বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস।
কিন্তু নকআউট পর্বে এসে ব্যর্থ বিশ্বসেরা টাইগার অলরাউন্ডার। সঙ্গে ব্যর্থ তার দলও। বার্বাডোজ ম্যাচ হারে ৩০ রানে। ব্যাটে রান পাননি সাকিব, বোলিংয়েও ছিলেন খরুচে। ৯ বলে করেন মাত্র ৫ রান। আর চার ওভার বল করে দিয়েছেন ৪৬ রান, কোনো উইকেট নেই।
বার্বাডোজকে হারিয়ে সিপিএলের ফাইনালের টিকেট পেয়েছে গায়ানাে আমাজন ওয়ারিয়র্স। তবে হারলেও ফাইনালে খেলার আরও একটি সুযোগ থাকছে তাদের। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে খেলবে তারা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে গায়ানা। বল আহতে শুরুতে ভালোই করেন সাকিব। প্রথম ৩ ওভারে খরচ করেন ১৭ রান। প্রথম ওভারে ৬, পরের ওভারে ৭ রান। দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে নিয়ে দেন ৪ রান। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে দলীয় ১৬তম এবং নিজের শেষ ওভারটি করতে এলে তার উপ চড়াও হন শোয়েব মালিক ও ব্রান্ডন কিং। দুজনই দুটি করে ছক্কা হাঁকান। সঙ্গে একটি চারও। তাতে ওই ওভারে রান আসে ২৯।
ব্রান্ডন কিং তাণ্ডব চালিয়ে তুলে নেন টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। মাত্র ৭২ বলে খেলেন ১৩২ রানের ইনিংস। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেটে ২১৮ রান করে গায়ানা।
বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ৩২ রানে প্রথম উইকেট হারায় বার্বাডোজ। এরপর তিন নম্বরে নামা সাকিব বিদায় নেন মাত্র ৫ রান করে, ৯ বলে। জোনাথন কার্টার ও অ্যালেক্স হেলসের কিছুটা লড়াই করেছিলেন, কিন্তু সেটা দলের জন্য পর্যাপ্ত হয়নি। সর্বোচ্চ ২৬ বলে ৪৯ রান করেন কার্টার। ফলে টার্গেটের ৩০ রান দূরেই থামতে হয় বার্বাডোজকে। ৮ উইকেটে ১৮৮ রান করে তারা।