সাকিব শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এসে ওই কথাটা বারবার বলে গেছেন। তার মতে, শেষ দিনের প্রথম ঘণ্টা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যা সামাল দিতে হবে তামিম-সৌম্যকে। ‘যতক্ষণ পারো ব্যাট করো,’ এই মন্ত্র কানে দিয়ে টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের মাঠে পাঠানোর কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে কাজ হলো না। দিনের দ্বিতীয় বলেই ফিরে গেছেন সৌম্য সরকার (৫৩)।
চতুর্থদিন খেলা শেষ হওয়ার আগে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশের রান ছিল ৬৭। শেষদিন কোনো রান যোগ না করেই ফিরতে হয়েছে সৌম্যকে। গুনারত্নের প্রথম বলেই ভড়কে গিয়েছিলেন তিনি। সেবার কোনোমতে বেঁচে যান। কিন্তু পরের বলে আর রক্ষা পাননি। সামনের পায়ে ডিফেন্স করেছিলেন। বল আউটসুইং করে ব্যাটের কানা নিয়ে উইকেটের পেছনে চলে যায়।
সামনে এখন কঠিন পথ। পাড়ি দিতে দৃঢ়তার পরিচয় দিতে হবে অন্যদের। কাজে লাগাতে হবে সাকিবের ওই ‘মন্ত্র’। গলে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করে জেতার ইতিহাসটি সর্বোচ্চ ৯৯ রানের। শুধু তাই নয়; শেষ ইনিংসে এই মাঠে কোন দল এখন পর্যন্ত ৩০০’র বেশি রানই করতে পারেনি। এমন পরিসংখ্যান মাথায় রেখে বাংলাদেশ কত পথ পাড়ি দিতে পারবে সেটাই দেখার বিষয়।
এই টেস্ট জিতে গেলে বাংলাদেশ ইতিহাস গড়ে ফেলবে। টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে ৪১৮ রানের বেশি তাড়া করে জেতার নজির নেই।
চতুর্থদিন পর্যন্ত উইকেট খুব একটা খারাপ আচরণ করেনি। লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা অনায়াসে ব্যাট চালিয়েছেন। উপুল থারাঙ্গা সেঞ্চুরি তুলে স্বাগতিকদের কাজটা সহজ করে দেন। ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৪ পর্যন্ত যাওয়ার পর ইনিংস ঘোষণা করে দলটি। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকা ১৮২ রান মিলে তাতে লিডটা সাড়ে চারশো পেরিয়ে যায় স্বাগতিকদের।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে দারুণ শুরু করেছিল। সৌম্য-তামিম ১১৮ রানের জুটি গড়েছিলেন। এরপরই মূলত শুরু হয় ভাঙন। মিডলঅর্ডারে মুশফিক ৮৫ আর মিরাজ ৪১ রান করে পরিস্থিতি সামাল দেন। সৌম্য ওই ইনিংসে করেছিলেন ৭১। তামিম ৫৭। সৌম্য দ্বিতীয় ইনিংসে এসেও অর্ধশতকের দেখা পান। ৪৭ বল খেলে শুক্রবার ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। ওই সময়ে তামিম ৪৪ বল খেলে মাত্র ১৩ রান করেন।