চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সাকিবের এক ওভারই পাল্টে দিল হিসাব

১৮ ওভারের ম্যাচ দ্বিতীয় ওভার থেকে ১৫ ওভার পর্যন্ত বাংলাদেশের সীমার মধ্যেই ছিল। কিন্তু সাকিব আল হাসানের একটা ওভারই পাল্টে দিল হিসাব। অধিনায়কের করা ১৬তম ওভারে ৩০ রান নিয়ে টাইগারদের সামনে ১৪৫ রানের লক্ষ্য খাড়া করে দিল জিম্বাবুয়ে। ভেজা আউটফিল্ডে টার্গেটটা শেষ পর্যন্ত সীমার মধ্যে থাকল কিনা সেটাই চিন্তার।

অথচ একটা সময় মনে হয়েছিল জিম্বাবুয়েকে অল্প রানে আটকে দিয়ে ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচের টার্গেটটা বাংলাদেশের আয়ত্বের মধ্যেই থাকবে। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের কাজটা সহজই করে দেয়ার জন্য যে শুরুটা তাইজুল-মোস্তাফিজরা এনে দিয়েছিলেন সেটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে না পারায় হিসেবটা পাল্টে গেল। ১৫ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের রান ছিল ৫ উইকেটে ৯৫। সেখান থেকে শেষ তিন ওভারে ৪৯ রান তুলে তারাই স্কোর বোর্ডে জমা করল ১৪৪ রান।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে টস জিতে আগে বোলিং নেয়ার যুক্তি হিসেবে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, আমাদের বোলিং বিভাগ বেশ শক্তিশালী, তাই শুরুতে উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ম্যাচের লাগামটাও টেনে ধরতে চান। জিম্বাবুয়ে ইনিংসের ১৫তম ওভার পর্যন্ত অন্তত বাংলাদেশ অধিনায়কের কথা খাপেখাপ মিলে যায়। কিন্তু তারপরই বিপত্তি। প্রথমে মাসাকাদজা এবং পরে রায়ান বুর্ল।

সাকিবের প্রথম ওভারে ৭ রান নিয়ে অবশ্য ইঙ্গিতটা অন্যরকম দিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার। কিন্তু অভিষেক টেস্টের মতো টি-টুয়েন্টির অভিষেকেও তাইজুল যে বাজিমাত করবেন সেটা হয়তো জানাই ছিল না তাদের। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম এবং নিজের অভিষেক ম্যাচের প্রথম বলে উইকেট তুলে রেকর্ড গড়ে ফেলেন বাঁহাতি পেসার।

তাইজুলের সামান্য টেনে দেয়া বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিসটাইমিং। সহজ ক্যাচ লুফে তাইজুলকে রেকর্ড বুকে নাম লেখাতে সাহায্য করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশকে ভোগানো সফরকারীদের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেলর এদিন পৌছাতে পারেননি দুই অঙ্কেও (৬)।

তাইজুল ছুঁয়ে দেয়ার পর যেন জিম্বাবুয়ে ব্যাটিং অর্ডারের খুঁটি আর জোরই পেল না। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে লড়লেন শুধু হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। ক্যারিয়ারের শেষ সিরিজ খেলতে নামা জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ভালোই এগোচ্ছিলেন। কিন্তু সঙ্গীর অভাবে যতটা দরকার ততটা আগ্রাসী হতে পারেননি। ২৬ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৩৪ রান করতেই থামতে হয় তাকে। টপঅর্ডারে আর একজনই কেবল দুই ডিজিটের ঘরে যান, ক্রেইগ আরভিন (১১)।

তাইজুলের দেখানো পথে হেঁটে সফল হন মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। আটোসাটো লাইনে বোলিং করে সাকিব ছাড়া প্রত্যেকেই ঝুলিতে ভরেন একটি করে উইকেট। সঙ্গে ফিল্ডারদের দুর্দান্ত ফিল্ডিং। সাব্বির রহমান যেমন চোখ ধাঁধানো ক্যাচ ধরেন, তেমনি সাকিব-মোস্তাফিজের যুগলবন্দিতে আসে রানআউটও।

এই অবস্থায় ১৬তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব। প্রথম বল থেকেই তার ওপর চড়াও হন সুর্ল। প্রতিটি বল বাউন্ডারি ছাড়া করে তুলে নেন ৩০টি রান। যার মধ্যে সমান তিনটি করে চার ছক্কার মার। সাকিবের এক ওভার পর মাঠে শুরু হয় বিদ্যুৎ বিভ্রাট। বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকার আবার শুরু হয়। বাকি শেষ ওভারে মোস্তাফিজ দেন ৮ রান। তাতে জিম্বাবুয়ের ফাইনাল স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৪৪।

জিম্বাবুয়ে দলের ব্যাটিং নায়ক রায়ান বুর্ল শেষ পর্যন্ত ৩২ বলে পাঁচ চার ও চার ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৫৭ রানে। তাকে সঙ্গ দেয়া টিনোটেনডা মুটোমবোজি ২৬ বলে করেন ২৭ রান। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৮১ রান করে অবিচ্ছিন্ন থাকেন দুজন।