চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘সাকার জন্য অস্থির পাকিস্তান’

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় কার্যকরের সময় যতো ঘনিয়ে আসছে ততোই ‘তার মামাবাড়ি’ পাকিস্তান তাদের ‘আবদার’ মেটাতে অস্থিরচিত্ততা প্রকাশ করছে বলে বিচারের দা্বিতে সোচ্চার সংগঠনগুলো মনে করছে।

তারা বলছে, সে কারণেই এখন পাকিস্তানী গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনসহ নানা প্রোপাগান্ডা শুরু হয়েছে।

সংগঠকরা মনে করছেন, এর অংশ হিসেবেই সেখানে প্রচারিত খবরে বলা হচ্ছে, মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে সাক্ষী দিতে যে পাঁচ পাকিস্তানীর আসার কথা ছিলো তাদের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন এরকম খবর নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, কারো উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। তবে কোনো পাকিস্তানী যাতে নিয়মিত ভিসা প্রক্রিয়ার বাইরে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

পাকিস্তানের একটি পত্রিকাকে কথিত এক সম্ভাব্য সাক্ষী এবং সাবেক পাকিস্তানী মন্ত্রী ইশাক খান খাকওয়ানি জানিয়েছেন, ট্রাইব্যুনাল তাদের সাক্ষী হিসেবে গ্রহণ না করায় তারা বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের কাছে গিয়েছিলেন। এরপরই তিনিসহ অন্যদের বাংলাদেশে প্রবেশে ‘ব্ল্যাকলিস্টেড’ করা হয় বলে তিনি দাবি করেন।

তথাকথিত এমন নিষেধাজ্ঞায় হতাশা গোপন করেননি খাকওয়ানি।

তবে খাকওয়ানিসহ পাকিস্তানীদের এমন হতাশাকে অস্থিরচিত্ততা হিসেবে বর্ণনা করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার। ‘বিচারের এ (রিভিউ) পর্যায়ে কোনোভাবেই যে নতুন করে সাক্ষ্য নেয়া যায় না এটা তাদেরও অজানা নয়। তারপরও তারা শুধুমাত্র বিচারকে কোনো না কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টার অংশ হিসেবে নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।

‘তাদের এমন চেষ্টা অাসলে শাপে বর হয়েছে। পাকিস্তানীরা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বা মুজাহিদ বা অন্য কোনো যুদ্ধাপরাধীর পক্ষে যতো বেশি চেষ্টা করবে, ততো বেশি প্রমাণ হবে যে একাত্তরে তারা পাকিস্তানের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা হিসেবে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে,’ বলে মন্তব্য করেন ডা. ইমরান।

চ্যানেল অাই অনলাইনকে তিনি বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ অন্য যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় কার্যকর যাতে বানচাল হয় সেজন্য পাকিস্তান এবং তাদের সহযোগীরা যে নানামুখি চেষ্টা করছে, ষড়যন্ত্র করছে; তার কিছু আলামত আমরা দেখছি। ‘তবে কোনো ষড়যন্ত্রই শেষ পর্যন্ত মানবতাবিরোধী অপরাধীদের শাস্তি কার্যকর থেকে বাঁচাতে পারবে না।’