ম্যাচের মাত্রই শুরু, দুই মিনিটও হয়নি। লাল কার্ড দেখলেন সেইন্টস আলেক্সান্দ্রে জাঙ্কেভিচ, কিছু বুঝে ওঠার আগেই দশজনের দল সাউদাম্পটন। সেই শুরু, বাকি ৮৮ মিনিটের সঙ্গে আরও অতিরিক্ত মিনিট, পুরোটা সময় দুঃস্বপ্ন তাড়া করে ফিরলো রালফ হাসেনহুতলের দলকে। প্রতিপক্ষকে বাগে পেয়ে ভয়ঙ্কর শিকারি হয়ে উঠলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলোয়াড়রা। ওল্ড ট্রাফোর্ডে জন্ম নিলো ইতিহাস।
আলেক্সান্দ্রে জাঙ্কেভিচের পর ৮৬ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন তার সতীর্থ জান বেডনারেক। সাউদাম্পটন ম্যাচ শেষ করেছে ৯ জনের দল নিয়ে। কোমড়ভাঙা প্রতিপক্ষ পেয়ে গোল উৎসবে মেতে ছিল ম্যানইউ, সাউদাম্পটনের খেলোয়াড় পিছু একটি করে, মানে প্রতিপক্ষের জালে ৯বার বল জড়িয়েছে রেড ডেভিলরা।
প্রিমিয়ার লিগে তৃতীয়বারের মতো প্রতিপক্ষকে ৯ বা তার বেশি গোল দিলো কোন দল। ১৯৯৫ সালে ইপউইচ সিটিকে ৯-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ম্যানইউ। ২০১৯ সালে রালফ হাসেনহুতলের কোচিংয়েই লেস্টার সিটির কাছে ঠিক একই সংখ্যক গোল হজম করেছিল সাউদাম্পটন।
১৭ মিনিট পর্যন্ত ম্যানইউকে আটকে রাখাটা মঙ্গলবারের ম্যাচে সাউদাম্পটনের একমাত্র প্রাপ্তি। ১৮ মিনিটে গোল উৎসব শুরু করেন অ্যারন ভন-বিসাকা, ২৫ মিনিটে মার্কাস রাশফোর্ড ব্যবধান করেন দ্বিগুণ।
ম্যাচের ৩৪ মিনিটে জান বেডনারেক নিজে একটা গোল উপহার দিয়েছেন স্বাগতিকদের। ৩৯ মিনিটে এডিনসন কাভানি গোল পেলে প্রথমার্ধেই এক হালি জমা হয় রেড ডেভিলদের স্কোর শিটে।
দ্বিতীয়ার্ধে অ্যান্থনি মার্শিয়াল করেছেন জোড়া গোল, স্কট ম্যাকটোমিনে, ব্রুনো ফার্নান্দেজরাও বাদ যাননি গোল করা থেকে। ড্যানিয়েল জেমস গোল পেয়েছেন অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে।
জয়ে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে যুগ্মভাবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে ইউনাইটেড। তবে তারা ম্যাচ খেলেছে দুটি বেশি। ২০ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট ম্যানসিটির, ২২ ম্যাচে ইউনাইটেডেরও তাই। ২১ ম্যাচে ৪০ পয়েন্টে তিনে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল।