দুই কোরিয়ার মধ্যকার আলোচনা শুরুর কয়েক সপ্তাহের মাথায় আবারও হটলাইন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো।
বিবিসি বলছে, সাউথ কোরিয়ার ফোনকলের উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছে নর্থ কোরিয়া। যোগাযোগ পুন:স্থাপনের কয়েক সপ্তাহের মাথায় দুই দেশের মধ্যকার যোগাযোগ আবার বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার পর নর্থ কোরিয়ার লিডার কিম জং উনের প্রভাবশালী বোন কিম ইয়ো জং বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক মহড়ায় অংশ নেওয়ার জন্য সাউথ কোরিয়াকে মূল্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, নর্থ কোরিয়াও সম্ভাব্য সকল হামলা মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করবে।
১৯৫৩ সালে দুই দেশের মধ্যকার শান্তিচুক্তি হলেও মূলত কোরিয়া উপদ্বীপে উত্তেজনা হ্রাস পায়নি। বহুবার দুই দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ।
সর্বশেষ, ২০১৮ সালে সাউথ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের সঙ্গে নর্থ কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের তিনবার বৈঠকের পর দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা উন্নত হয়। পরে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কিম জং-উনের দ্বিতীয় একটি বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় সাউথ কোরিয়ার সঙ্গে নর্থ কোরিয়ার সম্পর্ক ভেঙে পড়ে। অবশ্য, সর্বশেষ কিছুটা সম্পর্কের উন্নতি হয়। হটলাইন যোগাযোগও স্থাপিত হয়। দুই দেশের মধ্যে ফোন যোগাযোগ হয়। চিঠি চালাচালি হয়।
কিন্তু ২০২০ সালের জুনে দুই দেশের মধ্যকার একটি সম্মেলন ব্যর্থ হওয়ার পর সাউথ কোরিয়ার সঙ্গে হটলাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিল নর্থ কোরিয়া।
এতে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং আন্তঃকোরীয় সীমান্তে একটি লিয়াজোঁ অফিসও উড়িয়ে দেয় পিয়ংইয়ং।
পরে এসে আবারও দুই কোরিয়ার নেতা সম্পর্কোন্নয়নে একমত হওয়ায় ফের হটলাইন চালুর গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছিলো। ২৭ জুলাই থেকে লিয়াজোঁ ফের চালুর সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা যায়। কিন্তু ফোনালাপ শুরুর আগেই নর্থ কোরিয়া আবারও সম্পর্ক অস্বীকার করলো।