সাইবার হামলায় বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার হারানোর পর এবার ভয়াবহ সাইবার হামলার শিকার হয়েছে সারা বিশ্ব। বাংলাদেশও এরকম হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। হামলা ঠেকাতে বাংলাদেশের প্রস্তুতি কী? আগে একবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা হারাতে হলেও এখন সাইবার হামলা ঠেকানোর যথাযথ প্রস্তুতি রয়েছে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, এরকম সমস্যা শুধু বাংলাদেশের একার নয়, পুরো বিশ্বের। বাংলাদেশ একা নয়, ঝুঁকিতে রয়েছে আরো অনেক দেশ। তাদের সক্ষমতা থাকার পরও তারা সেগুলো রোধ করতে পারছে না।
‘সমস্যা মোকাবেলা করতে বাংলাদেশের প্রস্তুতি আছে,’ জানিয়ে তিনি বলেন: বাংলাদেশের এই সমস্যা মোকাবেলা করার ক্ষমতা রয়েছে, সেই প্রস্তুতিও বাংলাদেশের রয়েছে। ডিটেক্ট করতে পারি তেমন একটা সেন্টার আমাদের রয়েছে। যেটার নাম সিকিউরিটি অপারেশন সেন্টার। ডিটেক্ট করার পর সব সমস্যা থেকে নিজেদের প্রটেক্ট করার প্রস্তুতিও আছে। সেটা অনেকে জানেই না।
সর্বশেষ প্রায় ১০০ দেশে সাইবার হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, এই হামলার ঘটনা স্বাভাবিক নয়, অস্বাভাবিক। এবং যারা এই আক্রমণটা চালিয়েছে তারা যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েই কাজ করেছে। তবে কিছু কৌশলগত কারণ থাকায় আমাদের প্রস্তুতির বিস্তারিত বলা যাবে না। শুধু এটুকু বলতে চাই, বাংলাদেশের প্রস্তুতি যতটা আছে সেটা নেহাত কম নয়।
এ বিষয়ে ‘আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড’ এর প্রধান বিপণন কর্মকর্তা সোলায়মান সুখন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, বিশ্বব্যাপী যখন এ ধরনের আক্রমণ চলছে, সেই সময়ে সবচেয়ে বেশি সচেতন হওয়া উচিত ভোক্তার। কোন ধরনের অবিশ্বস্ত অ্যাকাউন্ট থেকে কোন লিংক এলে সেসবে কখনোই ক্লিক করা ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, যেমন আমরা বাসে উঠলে বলি, অপরিচিত কারো দেওয়া কিছু খাবেন না, তেমন এখানেও বলতে চাই, অপরিচিত কারো দেওয়া লিংকে ক্লিক করবেন না।
বাংলাদেশে অনেকে এখনো এসব ব্যাপারে সচেতন নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে কম্পিউটার অপারেটিংকেই ধরে নেওয়া হয় কম্পিউটারের নিরাপত্তা। অর্থাৎ কেউ কম্পিউটার অন অফ করতে জানলেই আমরা ধরে নেই যে সে কম্পিউটারের নিরাপত্তা বিষয়েও খুব বেশি সচেতন থাকবে।
‘আসলে কিন্তু তা নয়। তাই ভোক্তাদের সচেতন থাকতে হবে।’
তিনি বলেন: অবিশ্বস্ত উৎস খেকে কেউ কোন ডিজিটাল কনটেন্ট গ্রহণ করবেন না। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য আপটেটেড সিকিউরিটি সিস্টেম গ্রহণ করুন। সেফটি ম্যানেজমেন্টের বিষয়েও আরো চিন্তাভাবনা ও বাজেট দরকার।’
ব্যাপারটিকে আরো বেশি গুরুত্বসহ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। সুখন মনে করেন, জাতীয় বাজেটেও এই বিষয়টা রাখা দরকার। তা না হলে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে, সেটা যেমন ব্যক্তির হবে তেমন রাষ্ট্রেরও।