ইউরোপীয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) জানিয়েছে, সাইবার হামলা চালিয়ে তাদের তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের তথ্য চুরি করা হয়েছে।
ফাইজারের সঙ্গে ভ্যাকসিন তৈরির কাজে সম্পৃক্ত বায়োএনটেক জানিয়েছে, তাদের নিয়ন্ত্রকের কাছে জমা দেওয়া তথ্যাদির উপরে আক্রমণ চালিয়েছে এই হামলাকারীরা।
দুটি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন অনুমোদন দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে ইএমএ। ধারণা করা হচ্ছে এই সপ্তাহের মধ্যেই তা দেওয়া হবে। তবে বায়োএনটেক জানিয়েছে, এই হামলার ফলে নির্দিষ্ট করে দেওয়া সময়ের কোনো পরিবর্তন হবে না।
ইএমএ তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে এই হামলার ধরণ নিয়ে কোনো মন্তব্য না করে বলেছে, এই বিষয়ে পরিপূর্ণ তদন্ত পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র জানিয়েছে, এটি এখনও কার্যকরী।
তবে বায়োএনটেকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আরেকটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের তথ্যে হাত দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ইএমএ সার্ভারে সংরক্ষিত ফাইজার অ্যান্ড বায়োএনটেকের তথ্যাদিতে বেআইনীভাবে হাত দেওয়া হয়েছে।
এই হামলার কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই নিশ্চিত করেছে ইএমএ। তারা এই আক্রমণের কারণে জটিল শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনা ও স্বচ্ছতার গুরুত্ব সবার কাছে উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে। যদিও এর ফলে অংশগ্রহণকারীদের কোনো ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে কিনা সেটা সম্পর্কে ধারণা নেই তাদের।
সাধারণত ইউরোপীয় ইউনিয়ন জুড়ে যে কোনো ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ইএমএ।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে বিতরণ শুরু হয়েছে ফাইজারের ভ্যাকসিন। মর্ডানার তথ্যেও হামলা হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
সম্পতি বেশ কিছু এই ধরনের হামলার চেষ্টার খবর মিলেছে। গ্রীষ্মে রাশিয়ার কিছু হ্যাকার ভ্যাকসিন তৈরিতে সফলদের উপর আক্রমণের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে অক্টোবরে ভারতকেন্দ্রিক একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী এই ধরনের আক্রমণের শিকার হয়।