সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ভারতের হায়দ্রাবাদে এক বিক্ষোভ প্রতিবাদের সংবাদ সংগ্রহকালে ৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয় সাংবাদিক মোহাম্মদ মুবাশ্বির উদ্দিন খুররামকে।
এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার দিল্লির একটি সাংবাদিক সংগঠন ‘দ্যা কমিটি টু প্রোটেস্ট জার্নালিস্ট(সিপিজে)’ পক্ষ থেকে দাবি জানায়, খুব শীঘ্রই মুবাশ্বিরের বিরুদ্ধে অপরাধ তদন্তের বিষয়টি শেষ করা হোক। এবং সাংবাদিকদের নির্ভয়ে এই ধরণের বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহে আশ্বস্ত করা হোক।
৮ ফেব্রুয়ারি, ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তেলঙ্গানার হায়দ্রাবাদ থেকে দুই পুলিশ কর্মকর্তা খুররামকে গ্রেপ্তার করেছিলেন। খুররাম স্থানীয় উর্দু ভাষার সংবাদপত্র সিয়াসাত ডেইলি-র প্রতিবেদক। ঘটনার দিন তিনি ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিক্ষোভের প্রতিবাদের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন।
পুলিশ খুররামকে ১৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আটক রেখেছিলেন। বিক্ষোভের সাথে তার সম্পর্কের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এবং তার বিরুদ্ধে পাঁচটি ফৌজদারি মামলার অভিযোগ তদন্তের ভিত্তিতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে, তদন্তে খুররাম দোষী সাব্যস্ত হলে দুই বছরের কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে পারেন।
নিউইয়র্ক থেকে সিপিজে’র সিনিয়র এশিয়া গবেষক আলিয়া ইফতিখার বলেছেন, ভারতজুড়ে প্রতিবাদের জাতীয় গুরুত্বের ওপর ভিত্তি করে অবশ্যই সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, হায়দ্রাবাদের পুলিশের কখনই সাংবাদিক মুবাশিরউদ্দিন খুররমকে গ্রেপ্তার করা উচিত হয়নি, যিনি কেবল তার কাজটি করছিলেন, এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত বাতিল করা উচিত।
গত ১২ ডিসেম্বর ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) পাস হওয়ার পর আইনটিকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়। কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিবর্ষণের কথা স্বীকার করেছে পুলিশ। বিক্ষোভকেন্দ্রিক সহিসংতায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন।