সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলা ঘটনায় মর্মাহত উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলার পর ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকার ও সাধারন সম্পাদক আহাম্মেদ সরোয়ার হোসেন ভূঁঞা সংগঠনে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নিয়ে প্রধান বিচারপতির সাথে দেখা করে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। এসময় প্রধান বিচারপতির সাথে আপিল বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের নিন্দা ও প্রতিবাদ
এদিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের ন্যক্কার জনক হামলা ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ সংবাদ সংগ্রহে গণমাধ্যম কর্মীরা সেখানে ছুটে গেলে পুলিশ অতির্কিতে হামলা চালায়। গণমাধ্যম কর্মীদের পরিচয়পত্র এবং মাইক্রোফোন এবং ক্যামেরা থাকা স্বত্তেও হামলার হাত থেকে কেউ রেহাই পায়নি। পুলিশ সাংবাদিকদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেয়। হামলায় সাংবাদিকরা আহত হয়ে মিলনায়তন থেকে বেরিয়ে গেলেও দুজন ক্যামেরাম্যানকে আটকে রাখে পুলিশ। পরে তাদের উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের হামলায় ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক জাগো নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার ফজলুল হক মৃধা, সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক আজকের পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এসএম নূর মোহাম্মদ, এটিএন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার জাবেদ আখতার, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির সিনিয়র রিপোর্টার জান্নাতুল ফেরদাউস তানভী, বৈশাখী টিভির ক্যামেরাপার্সন ইব্রাহীমসহ ১০ থেকে ১২ জন গণমাধ্যমকর্মী আহত হন। এদের মধ্যে এটিএন নিউজের জাবেদ আখতার গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকার এবং সাধারণ সম্পাদক আহাম্মেদ সরোয়ার হোসেন ভূঁঞা এই ন্যাক্কারজনক পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। হামলার সাথে জড়িত পুলিশ সদস্যদের শাস্তি ও আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনার দাবি করেছেন নেতৃবৃন্দ।