গাইবান্ধার সাঁওতাল পল্লীতে সহিংসতার ঘটনায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই-এ তদন্তে নেমেছে। ঘটনার প্রায় ২ মাস পেরিয়ে গেলেও সাঁওতালদের আতঙ্ক কাটেনি। শীতের মধ্যে খোলা মাঠে জীবন কাটছে অনেকের।
সাঁওতালদের উচ্ছেদ ও সহিংসতার ঘটনায় গাইবান্ধার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল্লাহর নেতৃত্বে তদন্তে নামে বিচারিক তদন্ত দল। এছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকতার হোসেনের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের পিবিআই দল সাঁওতাল পল্লীতে ক্ষতিগ্রস্থদের সাক্ষ্য নিয়েছে। এসময় সাঁওতালরা দোষীদের শাস্তি দাবি এবং বাপ দাদার পৈত্রিক ভূমি ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে তীর, ধনুক, লাঠিসোটা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে।
মাদারপুর ও জয়পুর পাড়ার সাঁওতাল পল্লীর খোলা মাঠে তাবু খাটিয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে সাঁওতালদের অনেককে। ৬ নভেম্বর সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের জমি থেকে উচ্ছেদ হওয়ার পর স্থানীয় সাঁওতালরা তাদের বাড়ি ঘরে ফিরে যেতে পারলেও ছিন্নমূলদের থাকতে হচ্ছে খোলা মাঠে। কর্মহীন পরিবারগুলোর খাদ্য ও নিরাপত্তা সংকটের পাশাপাশি যোগ হয়েছে শীতের প্রকোপ।
ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশে মিল কর্তৃপক্ষ ধান কেটে দিলেও ভাগ না হওয়ায় সেটি পায়নি সাঁওতালরা।
গাইবান্ধার সাঁওতাল পল্লীতে হামলা হয়েছিলো ৬ নভেম্বর। তীর ধনুক নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলো তারা, কিন্তু ব্যর্থ হয়। অভিযোগ আছে যে কয়েকজন পুলিশ সদস্যই সাঁওতালদের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।