চীনে সোনার খনিতে বিস্ফোরণে আটকে পড়া ১১ শ্রমিককে টানেলের মাধ্যমে খাবার এবং ওষুধ পাঠিয়েছে উদ্ধারকারী দল। তাতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শূকরের মাংসের তৈরি সসেজ খেতে চেয়ে চিরকুট পাঠিয়েছে ওই শ্রমিকরা।
বিসিসির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত ১০ জানুয়ারি চীনের পূর্বাঞ্চলীয় সানডং প্রদেশে শিচেং টাউনশিপ এলাকায় সোনার খনিতে বিস্ফোরণ হয়। তার এক সপ্তাহ পর ১২ জন বেঁচে থাকতে পারে বলে আশা প্রকাশ করে উদ্ধাকারী দল।
তবে এখন পর্যন্ত ১১ জনের সন্ধান পেয়েছে উদ্ধারকারী দল। শ্রমিকদের সাথে নতুন টেলিফোন লাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছে তারা। প্রথমে উদ্ধারকর্মীরা টানেলে খাবার কিছুটা কম করে সরবরাহ করেন, পরে শ্রমিকরা বার্তা পাঠায় ‘আমাদের কাছে খাবার পাঠানো বন্ধ করবেন না’।
যদিও এখনো নিশ্চিত নয়, এই ১১ জনের ভাগ্যে কি হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে এদের উদ্ধারে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
আটকে পড়া শ্রমিকদের বের করার জন্য যে সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে, সেখান থেকেই ১২ জন জীবিত থাকার চিরকুট পাওয়া গেলেও ১১ জনের কথা নিশ্চিত করে শ্রমিকরা। ওই খনিতে মোট ২২ জন শ্রমিক কাজ করছিল। অন্যদের অবস্থান এখনো জানতে পারেনি উদ্ধারকারীরা।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী হচ্ছে চীনের বিভিন্ন খনি। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটি ও সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই কার্যক্রম পরিচালনা করায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে। ফলে প্রতি বছরই বহু শ্রমিক বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায়।
গত ডিসেম্বরে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় চোংকিং শহরে একটি খনিতে আটকা পড়ে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। ডায়াসুইডং কয়লা খনিটিতে মোট ২৪ জন আটকা পড়লেও কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাসের কারণে প্রাণ হারান অধিকাংশ শ্রমিক।
এছাড়া তার আগে সেপ্টেম্বরে সংজাও কয়লা খনিতে কার্বন মনোঅক্সাইডের মাত্রা বেড়ে অন্তত ১৬ শ্রমিকের মৃত্যু হয়।