প্রশ্নবিদ্ধ হলেও সারাদেশে মাদক নিধন অভিযান চালাচ্ছে সরকারি আইন শৃঙ্ক্ষলা বাহিনী। অভিযানে ‘ক্রসফায়ার’-এ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। চিত্রনায়ক কাজী মারুফ এমন চিত্রনাট্যের একটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। ছবির নাম ‘সর্বনাশা ইয়াবা’। মুক্তি পেয়েছিল ২০১৪ সালে ১৪ নভেম্বর।
দেশে মাদক নিধনের এমন অভিযানের সময়ে মারুফ তার সিনেমার প্রসঙ্গ তুলে কথা বলেছেন। ‘ইতিহাস’ খ্যাত ছবির এই নায়ক বলেছেন, ২০১৪ সালে বাংলাদেশে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলাম যার নাম ছিল ‘সর্বনাশা ইয়াবা’। আমার পিতা কাজী হায়াৎ ছিলেন ছবিটির পরিচালক।
নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে মারুফ আরও উল্লেখ করেছেন, উনি(কাজী হায়াৎ) চলচ্চিত্রে যা করিয়েছিলেন আমাকে দিয়ে, ঠিক তাই ঘটছে এখন মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টা চলছে। খুব ভালো লাগছে জেনে যা আমরা চেয়েছি ২০১৩-২০১৪ সালেই সেটা পর্দায় দেখিয়েছি। আর আজ ২০১৮ তে সেটা হচ্ছে।
‘সর্বনাশা ইয়াবা’ ছবি প্রসঙ্গে মারুফ আরো লিখেন, হয়তো অভিনয় বা নির্মাণ ভালো হয়নি বিধায় কোনো পুরস্কারে ভূষিত হয়নি চলচ্চিত্রটি। কিন্তু আজ অনেক খুশি মনে হচ্ছে, আমরা বোধহয় পথপ্রদর্শক ছিলাম। হয়তো সিনেমা ছিল বলে আমার অপরাধীদের সাজা দিতে ভুল হয়নি। আশা করবো সিনেমার মতোই কোনো ভুল যেন আর না হয়।
‘সর্বনাশা ইয়াবা’ ছবিতে মারুফের সঙ্গে অভিনয় করেন প্রসূন আজাদ। ছবির গল্পে দেখা যায়, একজন সৎ পুলিশ অফিসার কাজী মারুফ ‘ইয়াবা’র গডফাদারদের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে মিথ্যা অপরাধে চাকরি হারায়। ‘সর্বনাশা ইয়াবা’ কেড়ে নেয় তার কিশোরী ছোট বোনকে। ইয়াবার জন্য মা খুন করে মেয়েকে।
দেশের পতাকা হাতে নিয়ে দেশকে বাঁচানোর জন্য পথে পথে ঘুরে বেড়ায় মারুফ। কেউ তার পাশে থাকে না। এক সময় আইন নিজের হাতে তুলে নেয়। ধ্বংস করে ইয়াবা সাম্রাজ্য। শেষ করে গডফাদারদের। তরুণ সমাজকে ‘সর্বনাশা ইয়াবা’র হাত থেকে মুক্ত থাকার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানায়।
অ্যাকশন ঘরানার চলচ্চিত্রের অভিনেতা কাজী মারুফ তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন ‘ইতিহাস’ ছবির মাধ্যমে। কাজী হায়াৎ পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ২০০২ সালে। প্রথম ছবিতেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেন কাজী মারুফ।
এরপর অন্ধকার, ক্যাপ্টেন মারুফ, রাস্তার ছেলে, বস্তির ছেলে কোটিপতি, ইভটিজিং, ছিন্নমূল ইত্যাদি ছবিগুলো কাজ করেন। বর্তমানে চিত্রপরিচালক কাজী হায়াত শারীরিকভাবে অসুস্থ। সেজন্য বাবাকে নিয়ে নিউ ইয়ার্ক আছেন মারুফ।