চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সর্বত্র নৈরাজ্য-লুটপাট চলছে: মির্জা ফখরুল

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে দেশের সড়ক ও রেল পথ সহ সর্বত্র চরম নৈরাজ্য-লুটপাট চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঈদযাত্রায় যাত্রীদের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন: প্রতিটি ঈদের আগে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় এবারের ঈদে দুর্ভোগ হবে না। গতকালও এজন্য নাকি নতুন একটি ট্রেন উদ্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু আমরা কি দেখতে পাচ্ছি, সাধারণ যাত্রীরা টিকিট কেনার আগেই অর্ধেক টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। চরম নৈরাজ্য চলছে। সর্বক্ষেত্রে লুটপাট আর নৈরাজ্য চলছে। কোনও জবাবদিহিতা নেই। কে কার কথা শুনবে? কোথাও কোনও মা-বাবা নেই। কারণ বর্তমানে মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নেই, গণতন্ত্র নেই।

রোববার রাজধানীর বিজয়নগরে অবস্থিত হোটেল অরনেট এ বাংলাদেশ লেবার পার্টির উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপার্সন ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন: গোষ্ঠী জাতি অস্থিতিশীল, অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যে আছে। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সেই দল যে দল ১৯৭৫ সালে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলো। আজকে সেই বাকশালকে আবার প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে তারা। সব সময় শুধু সংবিধানের দোহাই দিচ্ছে। কোন সংবিধান, এটা কি ’৭২ সালের সংবিধান? সরকার একদিকে গণতন্ত্রের কথা বলে অন্যদিকে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। একদিকে সংবিধানের কথা বলে আবার তারাই সংবিধান ভঙ্গ করে। যেমনভাবে সংবিধান ভঙ্গ করে দেশনেত্রী বেগম জিয়াকে আটক রাখা হয়েছে। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হচ্ছে আদালত, সেখানেও মানুষ এখন আর ভরসা রাখতে পারছেন না। অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয়- আদালতেও আজ দলীয় ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

গুম, খুনের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন: এই ধরনের নির্যাতনের ঘটনার সাথে বাংলাদেশের মানুষের আগে কোনও পরিচয় ছিল না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে দেশনেত্রী মিথ্যা মামলায় কারাবরণ করছেন। আপস করেননি বলে তিনি এখনও কারাগারে আছেন। গণতন্ত্রের সাথে তিনি ওৎপোতভাবে জড়িত।

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, মাওলানা আব্দুল হালিম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান ও হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।