বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর নামে সরকারের ত্রাণ তৎপরতা মিডিয়া কাভারেজে সীমাবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ।
রোববার দুপুরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মোশাররফ বলেন, ২৭টি জেলায় নদী ভাঙ্গন ও ব্যবসায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব না। আমরা আশা করেছিলাম সরকার গুরুদায়িত্ব নিয়ে বানভাসির পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সহযোগিতা করবে। কিন্তু সেটি না করে শুধুমাত্র মিডিয়ার কাভারেজ নেয়ার জন্য সরকার বিভিন্ন দুর্গত এলাকায় যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘বন্যার্তদের সহযোগিতা না করে সরকার সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন। বিচারপতি, রাষ্ট্রপতির কাছে দৌঁড়ঝাপ করছেন। আর মন্ত্রীরা আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্মূল করার কথা বলছেন। কিন্তু বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে নির্মূল করা যাবে না। কারণ খালেদা জিয়া জনগণের নেত্রী। আপনাদের সঙ্গে জনগণের কোন সম্পর্ক নেই। আপনারাই পৃথিবী থেকে নির্মূল হয়ে যাবেন।’
ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর সরকার দলের সাধারণ সম্পাদক প্রধান বিচারপতির কাছে গিয়ে চাপ সৃষ্টি করছেন। সরকার দলীয় আইনজীবী, সাধারণ সম্পাদক, অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইনমন্ত্রী দেখা করেছেন। রায় নিয়ে বিষোদাগার করেছেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি খায়রুল হক। এটি অনৈতিক, অনভিপ্রেত। সরকার ও খায়রুল হক আদালত অবমাননা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘যদি উচ্চ আদালত স্বাধীন হয় তাহলে তাদেরক আদালতের সামনে দাঁড় করানো হোক। সুপ্রিম কোর্ট যদি চাপে না পড়ে তাহলে খায়রুল হককে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করান। যদি তা না করেন তাহলে জনগণ তার বিচার করবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপির জাতীয় ত্রাণ কমিটির সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল নোমান, ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারি বাবু।
এসময় আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ত্রাণ বিতরণে আমরা বাঁধার সম্মুখিন হচ্ছি। এর পরও আমরা জনগণের মাঝে যাচ্ছি। জনগণের শক্তি নিয়ে আমরা যাবো।
তিনি বলেন, সরকার শুধু গালিগালাজ, তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিষোদাগার ছাড়া তাদের আর কোন কাজ নেই। ত্রাণ বিতরণেও তাদের কোন ভূমিকা দেখছি না। এই অবস্থায় সামাজিকভাবে আমাদের মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।’