পহেলা বৈশাখ উৎসব উপলক্ষে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ বোনাস পেলেন। এই সংক্রান্ত এক নোটিশে এরইমধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
পহেলা বৈশাখের বোনাস পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আশরাফুল আলম খোকন ফেসবুকে তার অনুভূতির কথা জানিয়ে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেছেন।
খোকন লিখেছেন, বাঙ্গালির ইতিহাস হাজার বছরের। আজ প্রথমবারের মত মনে হলো আমি বাঙ্গালিত্বের সরকারি স্বীকৃতি পেয়েছি। বাঙ্গালি সংস্কৃতিতে বলা হয় বারো মাসে তের পার্বণ। কোনো পার্বণেই উৎসব ভাতা বলে কিছু ছিলো না । এই জনপদে ধর্মের বিস্তার ঘটার অনেক আগে থেকেই আমরা বাঙ্গালি ছিলাম । এরপরও ঈদ, পূজা অর্থাৎ ধর্মীয় উৎসবে আমরা কম বেশি সবাই উৎসব ভাতা পাই। খোকন আরো লিখেন, আজ অফিসে আসার পর বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা একটা কাগজ হাতে ধরিয়ে দিলেন। কাগজটি দেখেই আনন্দে মনটি ভরে গেলো। পহেলা বৈশাখের উৎসব বোনাস পেয়েছি। পরিমানে মুল বেতনের ২০% হলেও আনন্দের পরিমান হিসাব করা যাবেনা। সম্রাট আকবর বাংলা সন ও উৎসব চালু করে গিয়েছিলেন আর হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে এর আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেয়েছি।
তিনি আরও লিখেছেন, অনেকে হয়তো বলবেন শুধু সরকারি কর্মকর্তারা পেলেই হবে ? আমিও তাই মনে করি। সবারই পাওয়া উচিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সংস্কৃতি চালু করেছেন। আমার বিশ্বাস শিগগিরই বেসরকারি পর্যায়ে এই উৎসব ভাতা চালু হবে।
বিষয়টি নিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লিখেছেন, এই জাতির জন্য যা কিছু ভালো তা বঙ্গবন্ধু পরিবারই দিয়েছে। বিশ্বের মধ্যে অর্থনৈতিক ভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী ইহুদীরা এখনো নিজস্ব ভূখণ্ডের জন্য সংগ্রাম করছে । বঙ্গবন্ধু আমাদের যা দিয়েছেন আজ থেকে ৪৫ বছর আগে । সুতরাং বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরি শেখ হাসিনায় আস্থা রাখুন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে অনুমোদিত সরকারি চাকুরিজীবীদের অষ্টম বেতন কাঠামোতে এই বৈশাখী বোনাস বা নববর্ষ ভাতা রাখা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার (২৭ মার্চ) সরকারি চাকুরিজীবীদের কাছে বোনাসের চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়।