বিএনপি এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে কি যাবে না তা সময় হলে জানা যাবে বন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
গতকাল সংসদে প্রশ্নোত্তরপর্বে প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। আপনারা তাতে রাজি কিনা এমন প্রশ্নে ফখরুল বলেন, একথার উত্তর আমরা বারবার বলে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য দিয়েছেন। আমাদের বক্তব্য সময় হলে জানতে পারবেন। সময় হলে জানতে পারবেন বিএনপি এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে কিনা।
এসময় ফখরুল যথাসময়ে সহায়ক সরকারের রূপরেখা জাতির সামনে তুলে ধরা হবে বলেও মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী দেশে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশে দেশ চলছে বলে যে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফখরুল তারও সমালোচনা করেন।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, গণতন্ত্র আছে কি নাই তা আপনারাই ভালো বলতে পারেন। গতকাল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করেছেন। তখন বুঝতে পেরেছেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্টে বলা হয়েছে মুক্ত গণমাধ্যমের দিক থেকে আফগানিস্তানের চেয়ে ২ ধাপ পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। তাতে বুঝা যায় দেশে কতোটা গণতন্ত্র আছে।
বিএনপি মহাসচিব এসময় দলকে উজ্জীবিত করতে গঠিত ৫১ টিমের সফরে প্রশাসন বাধা দিচ্ছে অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিকে উজ্জীবিত হতে দিতে চায় না। কারণ সরকার জানে বিএনপি শক্ত হলে তারা টিকতে পারবে না। পুলিশ নাটোরে বিএনপির কর্মীসভা পন্ড করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল।
ঢাকা মহানগরীতে কর্মীসভা নিয়ে আলোচনা করতে আজ সকাল থেকে জাতীয় স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য এবং মহানগরীর নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন মহাসচিব। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে ঢাকা মহানগরীর কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ৭ মে ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে দক্ষিণ সিটির কর্মীসভা এবং ৮ মে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে তা পুলিশের অনুমোদনের ওপর নির্ভর করছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন-নবী-খান সোহেল প্রমুখ।