আওয়ামী সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এলোমেলো ঘুরে কোন লাভ নেই। আগামী নির্বাচনে জয়লাভ আমরাই করবো। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই বিএনপি ফের ক্ষমতায় বসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ফখরুল।
রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত সভায় ফখরুল বলেন: রেহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনা বড়াই করে বলছেন, বাংলাদেশে এত বড় কূটনৈতিক অর্জন আর কখনই হয়নি। অথচ এই ইস্যুতে তাদের বক্তব্যে একবারও রোহিঙ্গা অথবা জাতিগত নিধন শব্দটি উল্লেখ নেই। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের টেররিস্ট বলছে আর মিয়ানমারের সেই বুলিতেই সরকার অর্জন বলে দাবি করছে।
তিনি বলেন, আমি বলব সরকার রোহিঙ্গাদের ফের বাঘের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। রোহিঙ্গা নিয়ে সরকার ধোঁকাবাজির রাজনীতি করছে। এই সরকারের আত্মবোধ নেই বলেও দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
বাংলাদেশে এখন প্রধান সংকট চলছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে উল্লেখ আছে প্রধান বিচারপতি যদি চাকরি থেকে অব্যাহতি অথবা পদত্যাগ করেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বিচারপতি নিয়োগ দিতে হবে। কিন্তু সরকার এখন পর্যন্ত তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ওবায়দুল কাদেরকে ইঙ্গিত করে ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে এখন এতই উন্নয়ন যে ঢাকা থেকে দিনাজপুর যেতে লাগে ২০ ঘন্টা, রাজশাহী যেতে লাগে ১৬ঘন্টা। রেমিটেন্স কমে আসছে, বিনিয়োগ কমে আসছে আর দ্রব্যমূল্য কেনার সামর্থই হারিয়ে ফেলছেন সাধারণ জনগণ।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্তি দেয়ার জন্য তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। তারেক তরুণদের মাঝে অধুনিক বাংলাদেশ তৈরিতে খুব শীঘ্রই দেশ পরিচালনায় নেতৃত্ব দেবেন। হত্যার ষড়যন্ত্র করে তারেক রহমানকে সরকার দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছেন।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর সভাপতিত্বে এবং আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মির সরাফত আলী সপু, যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।