ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি পুরোটাই পাল্টে দিয়েছে তামিম ইকবালকে। বাংলাদেশী ওপেনার কাল রাতে পোস্ট ম্যাচ প্রেস কনফারেন্সে এসেছেন ঠিক টাইমে। কথা বলেছেন হাসি হাসি মুখে। একবারও বাঁকা উত্তর দেননি কোন স্পোর্টস রিপোর্টারের প্রশ্নের জবাবে। প্রশ্ন হয়েছে অনেক, উত্তরও দিয়েছেন সেঞ্চুরিয়ানের মত। ঠিক যেভাবে ২২ গজে সামাল দিয়েছে পাকিস্তানী বোলারদের মিট দ্য প্রেসেও দারুণ পারফরম্যান্স তামিমের।
১১৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা তামিম ইকবাল বলেন, সমালোচনাতো হবেই। আমি জানি এটা আমার হাতে নেই এবং আমি তা বন্ধ করতে পারবও না। আমি শুধু রান করতে পারবো। একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে নিজের সমালোচনা শুনতে আমি রাজি এবং তা হজমও করতেও অভ্যস্ত। কিন্তু আমি বাজে খেললে কেনো আমার পরিবার গালি শুনবে। এটা ঠিক না। আশা করি সবাই তা বুঝবেন। আগের দিন আরেকটা সংবাদ সম্মেলনে ক্যাপ্টেন মাশরাফি বলেছিলেন, প্রতিদিন ভালো খেলা সম্ভব নয়। কিন্তু প্রতিদিন একই ‘বডি ল্যাঙ্গুয়েজ’ নিয়ে মাঠে নামার চেস্টা করা সম্ভব। আমার দলকে সেটা বলেছি। ক্যাপ্টেন হওয়ার পরপর এটা সবাইকেই বলে দিয়েছে আমি। ম্যাশের কথা কিছুটা হলেও ভুল প্রমাণ করে বসলেন তামিম। পরপর দুই ম্যাচেই সেঞ্চুরি।
তবে ক্যাপ্টেন মাশরাফির সামনে এখন একটাই চাওয়া শেষ ম্যাচটা জিতে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখা। দলের উপড় তার আত্মবিশ্বাসও শতভাগ। অপেক্ষা শুধু মাঠে নিজেদের কাজটা নিজেদের মতো করা। মাশরাফিদের জয়টা পাকিস্তানের বিপক্ষে। যাদের কিনা এই সিরিজের আগে ১৬ বছরের মধ্যে একবারও হারানো যায়নি ক্রিকেটের কোনো ফরম্যাটে। অথচ ৪৮ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো টিম-টাইগার্স।
নতুন এক বাংলাদেশইতো। হ্যা, মাশরাফিও মানেন বিশ্বকাপের পর ভক্তরা যেভাবে সমর্থন দিচ্ছে তাতে শুধু এই সিরিজ নয় ভাবতে হচ্ছে আগামীর কথাও। বুধবার মিরপুরে শেষ ম্যাচ। পাকিস্তানীদের হোয়াটওয়াশ করলে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের ৭ নম্বর আসনটা নিশ্চিত হওয়ার কথা মাশরাফির দলের। শুভ কামনা টিম-বাংলাদেশ।