অনেক চেষ্টা করেও মে দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শ্রমিক সমাবেশের অনুমতি পায়নি বলে অভিযোগ করেছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। এর প্রতিবাদে মে দিবসে র্যালী করবে দলটি।
ওইদিন সকাল ১০টায় নয়াপল্টন থেকে র্যালী শুরু হয়ে প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হবে। এছাড়াও ২ মে সকালে শ্রমিক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবে।
সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে রোববার দুপুরে নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাসিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ।
শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক লিখিত বক্তব্যে জানান, সোহরাওয়াদী উদ্যানে মাঠ বরাদ্দ চেয়ে ২ এপ্রিল গণপূর্ত ও ৪ এপ্রিল ডিএমপি বরাবর আবেদন করেন। পুলিশ প্রশাসন তাতে আপত্তি জানালে ১০ এপ্রিল পুনরায় আবেদন করা হয়।
গত ২৭ এপ্রিল বিএনপির তিন সদস্যের একটি টিম পুলিশ কমিশনারের কার্যালেয় গেলে মে দিবসে অনুমতি দেয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেয় পুলিশ। তবে ২/৩ মে আবেদন করলে বিবেচনা করা যাবে বলে মৌখিকভাবে জানানো হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় আবেদন করা হলে পুলিশ প্রসাশন কাজের ব্যস্ততা দেখিয়ে অনুমতি না দিয়ে ৫ মে এর পর সমাবেশ করার কথা জানায়।
শ্রমিক দলের সভাপতি বলেন, এই সরকারের আমলে ২০১৫ সাল বাদে প্রতি বছর আমরা মে দিবসের সমাবেশ করেছি। কিন্তু এবার কেন অনুমতি দেয়নি তা বুঝতে পারছি না। আমাদের দু:খ করা ছাড়া আর কিছু করার নেই।
সরকারের এমন আচরণের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার গায়ের জোড়ে বিরোধী দলের কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক এই দিবসে শ্রমিকদের সমাবেশের অনুমতি না দিয়ে শ্রমিক দিবসকে ইয়ার্কি ও ঠাট্টার মধ্যদিয়ে ১৮৮৬ সালের আমােরিকার হেয় মার্কেটের শহীদ শ্রমিকদের অপমান করেছে আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশ প্রশাসন।
রিজভী বলেন, শ্রমিক সমাবেশ নিয়ে তামাশা করেছে প্রশাসন। এতে করে যাদের রক্তস্নাত শ্রম দিয়ে সভ্যতা টিকে আছে সেই সব শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদায় আঘাত দিয়েছে সরকার।
এটিকে তিনি অগণতান্ত্রিক ও জনবিচ্ছিন্ন সরকারের অমানবিক আচরণ বলে দাবি করে রিজভী বলেন, শ্রমিক সমাবেশ করতে না দেয়া চরম অগণতান্ত্রিক আচরণ দাবি করে এই দুঃশাসন বেশি দিন টিকবে না বলে হুশিয়ার করে দেন রিজভী।